সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার রাস্তায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। এ সময় সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেওয়া হবে না। কেউ বের হলে তাঁকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হবে। তবে সংবাদপত্রসহ জরুরি সেবা আওতামুক্ত থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত মঙ্গলবার বলা হয়েছে, আজ থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনের ছুটি বা সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং আদালতের জন্য প্রযোজ্য। সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি কার্যাবলির জন্য এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।
গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যাঁদের প্রয়োজন আছে, তাঁরা অবশ্যই চলতে পারবেন। তবে যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁরা যেন রাস্তায় বের না হন, সেটা নিশ্চিত করা হবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী গতকাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ থেকে লোকজন যাতে রাস্তায় বের না হতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে বলেছেন আইজিপি।
এদিকে গতকাল থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ শুরু করেছে সশস্ত্র বাহিনী। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নাগরিকদের সঙ্গনিরোধ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তায় টহল দেওয়ার কাজ করছেন না সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নাগরিকদের সঙ্গনিরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। এ কারণে তাঁদের উপস্থিতি কম চোখে পড়ছে।
মঙ্গলবার আইএসপিআর থেকে জানানো হয়েছিল, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন জায়গা রেকি ও পর্যবেক্ষণ করছেন। কোথায় কোথায় ক্যাম্প প্রয়োজন, তা দেখা হচ্ছে। যেসব স্থান থেকে সেনানিবাসে ফিরে আসা সহজ বা কম দূরত্বের, সেখানে ক্যাম্প করা হবে না।
গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থার জন্য বেসরকারি প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার জন্য বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হবে। এরপর আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, বিদেশ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তির অবস্থান নির্ণয় ও তাঁদের নিজ নিজ অবস্থানে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাই হবে সশস্ত্র বাহিনীর মূল লক্ষ্য।