ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনের উদ্বোধন হয়েছে বুধবার। আয়োজনের আলোচনা পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনে দেশের প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা৷ রাজনৈতিক ভূমিকার পাশাপাশি একাডেমিক ক্ষেত্রেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করার আকাঙ্ক্ষা উঠে এসেছে আলোচনায়।
শতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বুধবার দিনভর ছিল নানা আয়োজন—দুটি পর্বে হয় শতবর্ষের অনুষ্ঠান। প্রথমটি উদ্বোধনী পর্ব, দ্বিতীয়টি আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শতবর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন৷ করোনা পরিস্থিতির কারণে পাঁচ মাস দেরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২, ৩, ৪, ১২ ও ১৬ ডিসেম্বরও থাকছে নানা আয়োজন।
দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু শ্রেণিকক্ষে নয়, গ্রন্থাগার ও আবাসিক হল থেকেও শিখেছি৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকাটা অন্যদের মতো আমার জীবনেরও অবিস্মরণীয় স্মৃতি। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের মাতৃসম৷ রাষ্ট্র ও সমাজে যেখানে পিতৃতান্ত্রিকতা আছে, তার ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয় মায়ের মতো তার সন্তানদের লালন করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে আমরা মায়ের মতোই শিক্ষা পেয়েছি। তার মধ্যে দুটি শিক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ—সামাজিকতা ও গণতান্ত্রিকতা। এর অভ্যন্তরে আছে ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা। ১৯৭১ সালের গণহত্যার প্রথম আক্রমণের কেন্দ্রগুলোর একটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিপর্যয়ের মধ্য দিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়ে আছে। যেন ফিনিক্স পাখির মতো আগুনে পুড়ে আবার জন্মগ্রহণ করেছে!’
শতবর্ষী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান তুলে ধরতে গিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভূমিকাটা ছিল সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে। ভূমিকা রেখেছে পশ্চাৎপদ ও কৃষিনির্ভর একটা সমাজের অগ্রগতি ও রূপান্তরেও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। পিতৃতান্ত্রিক রাষ্ট্র চেয়েছে আনুগত্য, বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছে মুক্তি। এই আনুগত্যের প্রত্যাশা ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষার মধ্যে যে দ্বন্দ্ব আছে, সেই দ্বন্দ্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বারবার দেখা গেছে। এর নিরসন শিক্ষকেরা করেছেন কিছু—ছাত্ররা করেছে বেশি৷ এই বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, পাকিস্তানের নব্য ঔপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধেও দাঁড়িয়েছে। কাজেই রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং তার দার্শনিক-ঐতিহাসিক ও সামাজিক বিবেচনাগুলোর ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা রয়েছে৷’
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা ও নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান বিশেষভাবে স্মরণ করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের চর্চা করেছে এবং জ্ঞানের চর্চার ভেতর যে নৈতিকতা ও সংবেদনশীলতা থাকা দরকার, সেটিও এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের শিখিয়েছে। প্রতিষ্ঠার সময় মনে করা হয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ‘মক্কা’ বিশ্ববিদ্যালয় হবে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহজাগতিকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয় দাঙ্গায় জড়িত হয়নি, দাঙ্গা থামাতে চেয়েছে। এ অঞ্চলে নারীর অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমরা অনেকভাবে ঋণী৷ সেই ঋণ আমরা পরিশোধ করতে পারব না৷ কোনো ঋণ আছে, যেগুলো পরিশোধ না করা ভালো এবং সেই ঋণগুলো যত বাড়ে, ততই ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমাদের ঋণ সেই রকমের।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তারই ফলে ২৫ মার্চের কালরাতে এখানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায় তারা। পরাজয় নিশ্চিত জেনেও ১৪ ডিসেম্বর এখানে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। বাংলাদেশের একটি স্বতন্ত্র সত্তা অর্জনে প্রধান ভূমিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস অবিচ্ছেদ্য।
অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ ও তার ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান প্রত্যক্ষ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং ধর্মনিরপেক্ষ ভাষাকেন্দ্রিক গৌরব প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যা করেছে, এ জন্য গোটা বিশ্ব তাকে কুর্নিশ জানায়।
এই পর্বে অন্যদের মধ্যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বক্তব্য দেন। এরপর বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
শতবর্ষ আয়োজনে উদ্বোধনী পর্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল। ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অংশ হতে পারাটা সম্মানের। ৩০ বছর আগে আমি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। ভুটানের শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সেই সময়টি ছিল জীবনের এক অনন্য অধ্যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা শিখিয়েছে, নেতিবাচক দিকগুলোকে ইতিবাচক বিষয়ে রূপান্তরের কৌশল শিখিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে আমি গর্বিত। অ্যালামনাইদের সহযোগিতার মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে—এটাই আমার প্রত্যাশা।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। আমাদের যা কিছু গর্বের, সবকিছুর অগ্রভাগে আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। আমি ভাগ্যবান যে আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবিড়-সুন্দর পরিবেশে নিজেদের গড়ে তোলার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। এখান থেকে যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাঁরা অর্জন করেন, পরবর্তী সময়ে তা জীবনের পাথেয় হয়। শিক্ষার্থীদের বলব, আপনারা সময় নষ্ট করবেন না, ঠিকমতো ব্যবহার করবেন। আপনাদের ওপর নির্ভর করছে আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন। শিক্ষার্থীদের গড়ে ওঠার পরিবেশ অবশ্যই দিতে হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘বিগত ১০০ বছরের অগ্রযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। শুরুর এক দশকে এই বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে বিশ্বদরবারে সুনাম অর্জন করেছিল, দুঃখজনক হলেও সত্য যে সেই অগ্রযাত্রার গতি ধরে রাখা নানা কারণেই সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমার বিনীত নিবেদন, ভৌত মহাপরিকল্পনার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন প্রয়োজন। সুনাগরিক ও বিশ্বনাগরিক গড়ে তুলতে উচ্চশিক্ষায় যে পুনর্গঠন বা পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন, তা সম্পন্ন করে শিক্ষা-জ্ঞান-দক্ষতা ও গবেষণার একাডেমিক মহাপরিকল্পনা তৈরি করুন।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাঙালির জীবনের এমন কোনো দিক বা বিষয় নেই, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোঁয়া বা প্রত্যক্ষ উপস্থিতি নেই। এ অঞ্চলে সমাজের সর্বস্তরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান দেশে ও বিদেশে সমানভাবে স্বীকৃত। ১৯২১ থেকে ২০২১—এই ১০০ বছর ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ। কিন্তু সবার কাছে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আগামী ১০০ বছর কী হবে? ওই ১০০ বছরও কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হবে? আজকে দেশে ৫০টির বেশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চাকরিক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ আমাদের সবাইকে চিন্তাধারা পাল্টাতে হবে। পুরোনো চিন্তাধারা বিগত ১০০ বছরের জন্য ঠিক ছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ। উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন, প্রত্যাশা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং নিয়ে বিতর্কের কোনো শেষ নেই৷ শুধু একটি কথাই বলব, পূর্ববাংলার অবহেলিত জনপদে একটি শিক্ষিত-বুদ্ধিদীপ্ত মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং সেই রাষ্ট্রের সমাজ-রাজনীতি-সংস্কৃতির বিবর্তন ও উন্নয়নে যদি কোনো একক প্রতিষ্ঠান অব্যাহতভাবে অনন্যসাধারণ অবদান রেখে থাকে, সেটি নিঃসন্দেহে আমাদের প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বে এর তুলনা বিরল।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের তথ্যচিত্র ও থিম সং পরিবেশন করা হয়৷ এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত গ্রন্থ, ফটোগ্রাফি অ্যালবাম ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন।
শতবর্ষের আয়োজন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। দিনভর সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর ছিল পুরো ক্যাম্পাস।