রাষ্ট্রপতি পদে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ সদস্যদের ভোটে সংসদের চলতি ১৯তম অধিবেশনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচন হবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের ২৩ এপ্রিল। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির নির্বাচনে প্রকাশ্য ভোট দেবেন। প্রকাশ্য ভোট গণনাও হবে। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের ভোটে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী হলে ভোটের প্রয়োজন হবে না। একাধিক প্রার্থী থাকলে ভোট হবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি হবে। নির্বাচন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের কাছে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদই আবারও রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন, এমন খবর নাকচ করছেন কি না? উত্তরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘এটা নাকচও করছি না, নিশ্চিত করছি না।’
আইন অনুযায়ী, ২৪ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে শুরু হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণগণনা। ওই দিন থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তার পাঁচ বছরের মেয়াদ ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। আর সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ অবসানে পূর্ববর্তী নব্বই থেকে ষাট দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী ৯০ হতে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’