সাভারের রানা প্লাজা ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ছামসুদ্দিন। এ নিয়ে এ মামলার তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ১৬ জুন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ সৈয়দ কামাল এই আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সোহেল রানা, তাঁর বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম রানা প্লাজা নামের একটি বিপণিকেন্দ্র নির্মাণে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান তন্ময় হাউজিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেন । চুক্তি অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানটি ভবনের দোতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ করার পর সোহেল রানা তাদের বিদায় করে দিয়ে নিজেরাই ছয়তলা পর্যন্ত নির্মাণ করেন। এতে আরও বলা হয়, সোহেল রানা বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে সেখানে পোশাকের কারখানা স্থাপন করেন। এরপর ছয়তলা ভিত্তির এ ভবনকে দশতলা করতে সাভার পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে নয়তলা পর্যন্ত নির্মাণ করেন।
নকশাবহির্ভূতভাবে নয়তলা ভবন নির্মাণ ও সাভার পৌরসভা থেকে অবৈধভাবে পোশাক কারখানা স্থাপন করার অনুমোদন নেওয়ার অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাভার থানায় এই মামলা করেন। ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের মফিদুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ২১ মে সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
সোহেল রানা ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন তাঁর বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল হাসান, সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, সাভার পৌরসভার শহর পরিকল্পনাকারী ফারজানা ইসলাম ও লাইসেন্স পরিদর্শক মোতালিব
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ে ওই ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাকশ্রমিক। ওই ঘটনায় ১ হাজার ১৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।