বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত

নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম। ছবি: সংগৃহীত
নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৩ জন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। এ সময় যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থীদের দুজনের নাম জানা গেছে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সগির মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নিহত একজনের নাম আবদুল করিম, সে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। একই কলেজের আরেক শিক্ষার্থী দিয়া খানম ওরফে মিম। সে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

সগির মিয়া জানান, গুরুতর আহত একজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আরও ১২ জন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত।

নিহত শিক্ষার্থী আবদুল করিম। ছবি: সংগৃহীত



পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের ভাষ্য, আবদুল্লাহপুর থেকে মোহাম্মদপুর রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের একটি বাসের চালক হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর বাসটি উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থী প্রাণ হারান। গুরুতর আহত অবস্থায় এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনাস্থলের পাশেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। ঘটনার সময় ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা র‍্যাডিসন ব্লু হোটেলের পাশ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। অনেকে বাসের জন্য ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস এলে শিক্ষার্থীরা তাতে ওঠার চেষ্টা করে। সে সময় জাবালে নূর পরিবহনের আরেকটি বাস বাম পাশ দিয়ে ঢুকে দুই শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষার্থীরা এসে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে।

আবদুল্লাহপুর থেকে মোহাম্মদপুর রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহনের বাসটির ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছে দুই শিক্ষার্থী। ছবি: হাসান রাজা

ঘটনার পর ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক প্রথম আলোকে বলেন, দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত। আরেকজনের অবস্থা গুরুতর। নিহত হওয়ার পরপর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাস ভাঙচুর করে। যানবাহন থামিয়ে দেয়। সড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়।
তবে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওসি বলেন, রাস্তা সচল করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা থেকে থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নামছে।

দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ছবি: হাসান রাজা