রাজধানীমুখী মানুষের ঢল থামাতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার রাত ১০টার দিকে মন্ত্রী প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আর যেন কাউকে রাজধানীতে ঢুকতে না দেওয়া হয় সে জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারীকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পোশাক শ্রমিকদের বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট বক্তব্য দিতে বিজিএমইএকে বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে বিশেষ করে দুদিন ধরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ কর্মস্থল ঢাকার অভিমুখে ছুটতে শুরু করেছেন। শনিবার সকাল থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটে পোশাকশ্রমিকসহ মানুষের প্রচুর ভিড় পরিলক্ষিত হয়। এতে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যে সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে, তা মানা সম্ভব হয়নি।
সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে এ ছুটির মেয়াদ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনাভাইরাসে ছড়িয়ে পড়া রোধে অন্তত দুই সপ্তাহ সবাইকে বাড়িতে রাখতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সরকারের এই পদক্ষেপ। এ সময়কালে জনসমাগম তো দূরে কথা, বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরেও যাতে মানুষ বের না হয়, এ জন্য মাঠে নামানো হয়েছে সেনা। চলছে প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বিত সচেতনতা কার্যক্রম ও অভিযান। কিন্তু ছুটি পেয়ে দলে দলে মানুষ গ্রামের অভিমুখে ছুটে যায়। এর মধ্যে অনেক পোশাক শ্রমিকও রয়েছেন। এখন যারা রাজধানীতে ফিরছেন তার বড় একটা অংশ এই শ্রমিকেরা। দূরপাল্লার পরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহন বন্ধ থাকায় এসব মানুষকে দীর্ঘ পথ হেঁটে বা হালকা যানে চড়ে পাড়ি দিতে দেখা গেছে। কারখানা খোলার সিদ্ধান্তের কথা শুনে পোশাক শ্রমিকেরা ক্ষোভও জানাচ্ছেন।