সরকারি নির্দেশনা না থাকার পরও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের আওতাধীন রাজধানীর পেট্রল পাম্পগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ৩০ ডিসেম্বর ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত তেলের পাম্প বন্ধ থাকবে বলে পাম্পগুলোর প্রবেশ পথে বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একাধিক ব্যক্তি প্রথম আলো অফিসে ফোন করে এর কারণ জানতে চেয়েছেন।
আজ সন্ধ্যায় মামুন রশীদ তেল আনতে পরীবাগ পাম্পে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাম্পে তেল বিক্রি হবে না। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা না থাকার পরও কেন পেট্রলপাম্প বন্ধ করে দেওয়া হলো, এ বিষয়টি জানতে চাইলে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন মামুন।
রাজধানীর তেল ও সিএনজি পাম্পগুলো কোনো ঘোষণা ছাড়া বন্ধের খবর পেয়েছেন সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর। আজ শুক্রবার রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সিএনজি পাম্প স্টেশনগুলো বন্ধের খবর বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছেন। অনেকে তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছেন যে, তাঁরা সিএনজি নিতে পারবেন কিনা। তবে সরকারের কোনো সংস্থা এ ধরনের নির্দেশনা দেয়নি বলেও তিনি জানান।
নির্বাচন কমিশনের কোনো ঘোষণা না থাকার পরও কেন তেল বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে, জানতে চাইলে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর সাইফুল্লাহ আল খালেদ রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তেল বিক্রি বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশ দিইনি। কোনো নির্দেশনা ছাড়া এভাবে তেল বিক্রি বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। শুধু নির্বাচনের দিন পাম্পের কর্মচারী-কর্মকর্তারা যাতে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য ওই দিন পাম্প বন্ধ থাকবে। যেখানে তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে, আমি এখনই তা চালু করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি। আগামীকাল মেঘনার সব ডিলার ও তেলের পাম্প খোলা থাকবে।’
তেলের পাম্প তো জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এটি কি বন্ধ রাখার সুযোগ আছে, এ বিষয়ে মীর সাইফুল্লাহ আল খালেদ বলেন, নির্বাচনের দিন সব গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। সে কারণে তেলেরও প্রয়োজন হবে না। আজ রাত ও আগামীকাল তেল বিক্রি চালু থাকবে বলে তিনি জানান।