চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দন্ত বিভাগ থাকলেও ডেন্টাল ইউনিট অকেজো থাকায় তিন বছর ধরে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দাঁতের সমস্যা নিয়ে আসা সাধারণ রোগীরা। বিভাগটিতে চিকিৎসক থাকলেও যন্ত্রপাতির অভাবে তাঁরা কাজ করতে পারছেন না। ডেন্টাল সার্জারি, ফিলিং, স্কেলিং, দাঁত ওঠানোসহ কোনো চিকিৎসাই মিলছে না হাসপাতালে। রোগীরা এলে কেবল মেলে পরামর্শ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দন্ত বিভাগে একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা ও একজন টেকনোলজিস্ট রয়েছেন। কিন্তু তিন বছর ধরে অকেজো রয়েছে ডেন্টাল চেয়ার। এ জন্য দাঁতের চিকিৎসা পাচ্ছেন না রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দন্ত বিভাগের ডেন্টাল ইউনিট চেয়ার তিন বছর আগে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এই বিভাগে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিও নেই। ডেন্টাল ইউনিট চেয়ার নষ্ট হওয়ার পর একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সাড়া মেলেনি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দৈনিক গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন দাঁতের রোগী এলেও তাঁরা বেশির ভাগ শুধুমাত্র ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ফিরে যান। অনেক রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সম্প্রতি দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, মরিয়মনগর ইউনিয়ন থেকে রহিমা বেগম (৫১) নামে এক নারী দাঁতের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। দন্ত বিভাগে গেলে ডেন্টাল ইউনিট চেয়ার অকেজো থাকায় তাঁকে চিকিৎসক পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। যন্ত্রপাতি নেই জানলে তিনি হাসপাতালে আসতেন না বলে জানান।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দন্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক হামিদা কায়সার প্রথম আলোকে বলেন, ডেন্টাল চেয়ার নষ্ট থাকায় রোগীকে ভালোভাবে না দেখেই ব্যবস্থাপত্র দিতে হয়। রোগী এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। জটিল রোগী হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।