একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন এবং তার আগে ও পরে বেশ কিছু যানবাহন ও নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে। শুক্রবার নির্বাচন সচিবালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
যেসব ক্ষেত্রে যানবাহন ও নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে—
১. জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন, ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা বা অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি এবং সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন চলাচল করবে।
২. আত্মীয়স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বা আত্মীয়স্বজনসহ নিজ বাসস্থান যাওয়া-আসা অথবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ সাপেক্ষে) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যেকোনো পরিবহন চলবে।
৩. নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য একটি, প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র/ পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য একটি গাড়ি চলতে পারবে (রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন ও স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে)।
৪. সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চলবে (রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে)।
৫. নির্বাচন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারীর মোটরসাইকেল চলবে (রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে)।
৬. উল্লিখিত যানবাহনের অনুরূপ জরুরি কাজে ব্যবহৃত নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রেও অনুমতি বা নিষেধাজ্ঞা বহির্ভূত থাকবে।
এ ছাড়া কূটনৈতিক/দূতাবাস/হাইকমিশনে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের যাতায়াতের জন্য এবং দূতাবাস বা হাইকমিশনে কর্মরত স্থানীয় স্টাফদের কূটনৈতিক জোনের বাইরে যাতায়াতের জন্য সীমিতসংখ্যক গাড়ি চলবে। তবে কূটনৈতিক এলাকায় কোনো বহিরাগত যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার বা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষে অনুমতি নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ভোটের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত বেশ কিছু যানবাহন ও নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে একাদশ জাতীয় সংসদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।