মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেত্রকোনার মো. হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি (৮০) ও সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলীকে (৮৮) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন।
নেত্রকোনার এ দুজনের মধ্যে মো. হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি পলাতক। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে আনা মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ৭ মার্চ যেকোনো দিন রায় (সিএভি) ঘোষণার জন্য রেখে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ রায় দেন। এটি মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৩৭তম রায়।
২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় আসামি ছিলেন তিনজন। তাঁরা হলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির সদস্য হেদায়েত উল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি, এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০), সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলী। আঞ্জু-মঞ্জু দুই ভাই। তিনজনের মধ্যে মঞ্জু ও রাজাকার ছোরাপ আটক ছিলেন। পরে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু। এ তিনজনের বাড়িই নেত্রকোনার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে।
তাঁদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা ও দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। নেত্রকোনার আটপাড়া থানার মধুয়াখারী গ্রাম, মোবারকপুর গ্রাম, সুখারী গ্রাম এবং মদন থানার মদন গ্রামে তাঁরা এসব অপরাধ সংঘটিত করেছেন। এর ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে।