প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটি উদ্বোধন করেন।
একই সময় প্রধানমন্ত্রী কোনাবাড়ী ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক এবং কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব প্রকল্পগুলোর ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ১৬ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন।
জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়সি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর কাজ শুরু করে।
সেতু তিনটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে এবং ২০১৯ সালের জুনে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। ২০১৬ সালের জুলাইতে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্মাণকাজ চার মাস বন্ধ থাকে। এ কারণে সরকার নির্মাণকাজের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়। এতে সেতু তিনটির নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের সাত মাস আগেই সম্পন্ন হয়।
৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ নতুন কাঁচপুর সেতু নির্মাণকাজ ২০১৭ সালে শেষ হয়। যথাক্রমে ১ হাজার ৭৫০ কোটি ও ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ৯৩০ মিটার মেঘনা ও ১ হাজার ৪১০ মিটার গোমতী সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
জনসাধারণের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৩১ মে কাঁচপুর সেতুর পূর্বাংশের ওভারপাস খুলে দেওয়া হবে।