সমাবেশ শুরু হয় বেলা সাড়ে তিনটায়। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই সমাবেশস্থলে আসতে রওনা দেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু যানজটের কারণে পৌঁছাতে পারেননি সমাবেশের সভাপতি, সাতজন বিশিষ্ট বক্তা ও সংগঠনের কর্মীরা। অগত্যা জনা বিশেক উপস্থিতির বক্তব্য দিয়েই দেড় ঘণ্টা পর সমাবেশ শেষ হয়।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটায় শুরু হয় ‘ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে সড়ক-মহাসড়কে যানজটমুক্ত নিরাপদ ও আনন্দময় পথযাত্রা’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশ। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন এই আয়োজনের উদ্যোগ নেয়।
সমাবেশে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি রাজধানীসহ সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কে যানজটসহ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে। অথচ ঢাকার যানজট এমন অসহনীয় অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে সমাবেশের সভাপতি, সংগঠনের সভাপতি আর সাতজন বক্তা সমাবেশে শেষেও পৌঁছাতে পারেননি। নগরে যানজটের এই অবস্থা আমরা অবসান চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই অবস্থা আমরা দেখতে চাই না। যানজটমুক্ত বাংলাদেশের জন্য আমরা আবেদন জানাই সরকারের কাছে।’
সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পার হলেও ঢাকার মতো সুযোগ-সুবিধাসহ দ্বিতীয় কোনো নগর গড়ে তুলতে না পারায় সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ রাজধানীতে এসে ভিড় করে। এতে যান চলাচলে বাড়তি চাপ পড়ছে। সঙ্গে আছে রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত প্রাইভেট গাড়ির উপস্থিতি।
আজিজুর রহমান বলেন, অসহনীয় যানজটে এই নগর অচল হয়ে পড়েছে। বিগত দেড় যুগে সাতটি উড়ালসড়ক করা হলেও যানজটের অবস্থার উন্নতি হয়নি। যানজট তো দূর হয়ইনি, বরং সড়ক সংকুচিত হয়েছে আরও। অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায়ই ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার যানজট হচ্ছে। যে সময় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের সারিতে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে, সে সময় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের গতি বাড়াতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
সংগঠনটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সমাবেশে বলেন, আর কয়দিন পরে যখন ঈদের ছুটিতে নগরবাসী বাড়ির পথে যাবে, তখন মহাসড়কগুলোয় আরও যানজট হবে। কিন্তু সে অনুযায়ী প্রস্তুতি কি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর আছে? তিনি মহাসড়কগুলোতে যানজট ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানান।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সালমা সুলতানা, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, জাতীয় শ্রমিক জোট কার্যকরী সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য দেন।