সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদীতে যাত্রীবোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুসহ তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ১৬ জন। জীবিত উদ্ধার হয়েছে ৫৪ জন।
আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে যমুনা নদীর স্থলচর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গয়নাকান্দি গ্রামের পাষান ফকির (৬৫), একই উপজেলার কলাগাছি গ্রামের শামীম হোসেনের চার বছরের ছেলে নাইম (৪) এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সুবর্ণতলী গ্রামের কামাল হোসেন মোল্লা (৪৫)। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে স্থানীয় এনায়েতপুর ঘাট থেকে ইব্রাহিম মাঝির ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা চৌহালীতে যাওয়ার পথে যমুনা নদীর স্থলচর এলাকায় পৌঁছালে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে। এ সময় ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মাসুদ পারভেজ জানান, এনায়েতপুর ঘাট থেকে চৌহালী যাওয়ার পথে স্থলচর এলাকায় গেলে পানির তীব্র ঘূর্ণাবর্তে নৌকাটি ডুবে যায়। মাঝিসহ প্রায় ৩৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে ওঠে। স্থানীয় ব্যক্তিরা উদ্ধার করে ১৯ জনকে। এখনো ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। এখন পর্যন্ত এক শিশুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুজনের লাশ স্থলচর ও আরেকজনের লাশ কুকুরিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। বাকিদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপশি স্থানীয় ব্যক্তিরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া কয়েকজন যাত্রী জানান, তাঁরা শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার শ্রমজীবী মানুষ। বেশির ভাগই টাঙ্গাইলের করটিয়া ও মির্জাপুরে ধানকাটার জন্য যাচ্ছিলেন। নৌকায় ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করছেন তাঁরা।
স্থানীয় স্থলচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুন নূর জানান, নৌকাটিতে ধান কাটার শ্রমিক ছিলেন বেশি।
শাহজাদপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মঞ্জরুল আলম বলেন, ‘আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। এ ছাড়া নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল আসছে।’
ক্যাপশন: নিখোঁজদের উদ্ধারে চলছে অভিযান। ছবি: প্রথম আলো