পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছেন সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠক শুরু হয়। এক দিনের সফরে আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকায় এসেছেন জয়শঙ্কর।
জয়শঙ্কর ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছান। ঢাকায় বিএএফ বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে তাঁকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মূলত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে ঢাকায় এসেছেন এস জয়শঙ্কর। দুদিনের সফরে ২৬ মার্চ বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির।
জয়শঙ্করের সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণ, যাত্রীবাহী ট্রেন চালুসহ কানেকটিভিটি (সংযুক্তি) বাড়ানোর বিষয়গুলো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তোলা হবে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়টিও আলোচনায় আসবে। এসবের পাশাপাশি ঋণ চুক্তির প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে কথা হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের পর জয়শঙ্কর ঢাকা সফর করছেন। এ সফরে তিনি দুই দেশের সম্পর্ক পর্যালোচনার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নরেন্দ্র মোদির ২৬ মার্চ ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন। পরদিন ২৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুরে ঢাকায় ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদি।
আজ দুপুরের পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এস জয়শঙ্কর।
বিকেলে ভারতীয় হাইকমিশনে নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এস জয়শঙ্কর মতবিনিময় করবেন।
আজ রাতে এস জয়শঙ্করের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটি এস জয়শঙ্করের দ্বিতীয় ঢাকা সফর। এর আগে ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার ঢাকা সফর করেন তিনি।