মেহেরপুর সদর ও গাংনী উপজেলা থেকে বিএনপি-জামায়াতের ২৫ নেতা-কর্মীকে নাশকতার অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার গাংনীর হাড়াভাঙ্গা থেকে ১৯ জন ও মেহেরপুর সদর থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়।
গাংনী থানা-পুলিশ জানিয়েছে, নাশকতা করার জন্য বিএনপি-জামায়াতের ১৯ জন নেতা-কর্মী গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৈঠক করার সময় তাঁদের আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে দেশীয় দুটি একনলা বন্দুক, চার রাউন্ড গুলি, বোমা তৈরির এক কেজি গান পাউডার ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ১৯ জন নেতা-কর্মীকে আটকের পর নাশকতার মামলা করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মেহেরপুর-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, ‘উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।’
এ দিকে নাশকতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মেহেরপুর সদরের বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ছয়জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিএনপির ছয় কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মেহেরপুর-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী মাসুদ অরুণ বলেন, ‘ক্ষমতাসীনেরা নির্বাচনে পরাজয় দেখতে পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করে জেলহাজতে পাঠাচ্ছে। দেশের মানুষ ভোট দিতে চায়, সরকার ভোট নিতে চাচ্ছে না। জোর-জুলম করে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে।’