স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এই তারিখ পেছানোর দাবি জানিয়েছে মেডিকেল ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানান মেডিকেলে ভর্তি-ইচ্ছুক বিভিন্ন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী। তাঁদের বক্তব্য, করোনার কারণে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তিবিষয়ক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তি পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। তাহলে মেডিকেলের পরীক্ষা কেন পেছানো হবে না?
মানববন্ধনে রাজধানীর সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা মো. ইনজামুল বলেন, ‘আগামী ২ এপ্রিল মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু চলমান করোনা মহামারিতে আমরা কেউই নিরাপদ নই। এই সময়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তাদের ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা মেডিকেলের দেড় লাখ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা কেন “গিনিপিগ এক্সপেরিমেন্টের” শিকার হব? একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হয়েও কেন আমরা পরীক্ষার তারিখের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হব?’
ইনজামুল আরও বলেন, দেড় লাখ পরীক্ষার্থী, তিন লাখ অভিভাবক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে অনেক মানুষ মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত।
পরীক্ষার আগে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে পরীক্ষা না দিতে পারার আশঙ্কাও এখানে রয়েছে। পরীক্ষা প্রাঙ্গণে করোনায় আক্রান্ত কেউ থাকলে অন্যদের সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। এ ছাড়া গণপরিবহনে যাতায়াতেও করোনার ঝুঁকি আছে। তাই আমরা করোনার টিকা নিশ্চিত করার পর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাই।
নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা গোলাম সাকলায়েন বলেন, ‘দাবি আদায়ে ঢাকা ছাড়াও প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে আমাদের মেডিকেল ভর্তি-ইচ্ছুক সহযোদ্ধারা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করি, আমাদের দাবিগুলো সদয় নজরে দেখে দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে।’
মানববন্ধনে মেডিকেলে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, করোনার কারণে সব পরীক্ষা যেখানে পেছানো হচ্ছে, সেখানে মেডিকেল পরীক্ষা কেন পেছানো হবে না? তাঁরা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মতোই মে মাসে পরীক্ষা দিতে চান। দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে তাঁরা অনশনে বসবেন।