গাজীপুরের টঙ্গীতে জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর সহযোগীদের বহনকারী প্রিজন ভ্যানে হামলার ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এতে হামলার পর আটক হওয়া মোস্তফা কামাল (২২) ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজয় কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। আসামি মোস্তফা কামালের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার পূর্ব পাগলী এলাকায়। পুলিশ বলেছে, হামলার পর গতকাল তাঁর কাছ থেকে পাঁচটি হাতবোমা (আইইডি), দুটি চাপাতি, দুটি পেট্রলবোমা, হাতে তৈরি একটি গ্রেনেড ও সাড়ে সাত হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ তালুকদারের ভাষ্য, আদালতে হাজিরা শেষে মুফতি হান্নানসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ২১ জন আসামিকে ঢাকা থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হচ্ছিল। গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ওই প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে দুটি বিস্ফোরক ছোড়ে দুর্বৃত্তরা।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নান ও তাঁর সহযোগীরা কাশিমপুর কারাগারে আছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার হাজিরা দিতে গতকাল সকালে প্রিজন ভ্যানে মুফতি হান্নান ও সহযোগীদের ঢাকায় আদালতে পাঠানো হয়।
হামলার পর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে মুফতি হান্নান ও সহযোগীরা কাশিমপুর কারাগারে ফিরেছেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে তিন জঙ্গিকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে প্রিজন ভ্যানে গুলি-বোমা হামলা চালিয়ে জেএমবির তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেন তাঁদের সহযোগীরা। তিনজন হলেন রাকিব হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ, সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই অবশ্য হাফেজ মাহমুদ ধরা পড়েন এবং পরদিন সকালে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। বাকি দুজন এখনো পলাতক। ওই ঘটনায় জঙ্গিদের গুলিতে এক পুলিশ সদস্যও নিহত হন।