মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী ও লৌহজং উপজেলায় শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আরও দুজন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৩৬। নতুন করে জেলায় ৭৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ৫৪৩। নতুন ৬ জনসহ সুস্থ হয়েছেন মোট ৩৫২ জন।
মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ আজ শনিবার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) পাঠানো নমুনার মধ্যে শনিবার ৩৪৪ জনের ফল এসেছে। সেখানে ৭৫ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানানো হয়।
নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৭ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ১২ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৯ জন, লৌহজং উপজেলায় ৪ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ১৩ জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় সবচেয়ে বেশি ৬৬৫ জন শনাক্ত হয়েছে সদর উপজেলায়। এ ছাড়া সিরাজদিখান উপজেলায় ২২৮ জন, লৌহজং উপজেলায় ২১৭ জন, গজারিয়া উপজেলায় ১৫৫, শ্রীনগর উপজেলায় ১৫২ জন এবং টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ১২৬ জন কোভিড রোগী পাওয়া গেছে।
সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলার সব জায়গায় করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাটাও বাড়ছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, সেটা বলা মুশকিল। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। বৃষ্টির এ সময় বাড়ির বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি যত্নবান হতে হবে। জ্বর-সর্দি থেকে সুস্থ থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলায় ২০ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৭ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৩ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ১ জন ও লৌহজং উপজেলায় ৫ জন মারা গেছেন। শনিবার ৩৭ জনসহ জেলা থেকে ৬ হাজার ৯৫৪ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। যার মধ্যে ৬ হাজার ৭৭৪ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে।