মুন্সিগঞ্জের সদর, সিরাজদিখান, গজারিয়া ও শ্রীনগর উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮৮ জনে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ জানান, ১৯ ও ২০ মে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) পাঠানো নমুনার মধ্যে ১৪৪ জনের ফল এসেছে। সেখানে ২৮ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানানো হয়। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৬ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৩ জন, গজারিয়া উপজেলায় ২ জন ও শ্রীনগর উপজেলায় ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলেন, বুধবার ২১৫টি নমুনার মধ্যে ১৭ জন আক্রান্ত হয়। সেটা আশা জাগিয়ে ছিল। বৃহস্পতিবার এতগুলো পজিটিভ রিপোর্ট আসায় কিছুটা চিন্তা বেড়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, যাঁরা আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, আজ সিরাজদিখান ও গজারিয়া উপজেলায় দুজন করে চারজন চিকিৎসক সুস্থ হয়েছেন। গত কয়েক দিনে স্বাস্থ্য বিভাগের ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। মুন্সিগঞ্জের অন্য রোগীদের অবস্থা ভালোর দিকে। তিনি মনে করেন, সচেতনতা বৃদ্ধি, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা দ্রুত কমে আসবে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ১৬৩ জনসহ এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৯টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এসেছে ২ হাজার ৮৪৫টি। এ পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ২১৫ জন, সিরাজদিখানে ৭১ জন, গজারিয়ায় ৬৫ জন, শ্রীনগরে ৫৫ জন, লৌহজং উপজেলায় ৪৩ ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৩৯ জন কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ১০০ জনকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৬ জন। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১১ জন, টঙ্গিবাড়ী ও লৌহজং উপজেলায় দুজন করে এবং শ্রীনগর উপজেলায় একজন আছেন।