মুন্সিগঞ্জের তিনটি আসনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ দেখা গেলেও অধিকাংশ আসনে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। তিনটি আসনের আটটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, মাত্র দুটি কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট রয়েছে। অপর পাঁচটিতে বিএনপির কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি। একটি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
মুন্সিগঞ্জ সদরে পিটিআই কেন্দ্রের বিএনপির এজেন্ট মামুন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন্দ্রের ভেতরে ছিলাম। আওয়ামী–সমর্থকেরা এসে চড়-থাপ্পড় দিয়ে আমাদের বের করে দিয়েছেন।’
এর বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগের চুন্নু মিয়া বলেন, তাঁরা নিজের ইচ্ছায় কেন্দ্র থেকে চলে গেছেন।
নয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিএনপির কোনো এজেন্ট নেই। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, কোনো এজেন্ট না দিলে বা না এলে কী করার আছে?
একই চিত্র দেখা যায় মুন্সিগঞ্জ–৩ আসনের পঞ্চসার দারুল ইসলামিয়া আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে।
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের রাজদিয়া-অভয় পাইলট হাইস্কুল কেন্দ্রে দেখা যায়, ভোটাররা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। ওই কেন্দ্রেও বিএনপির এজেন্টদের পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মুন্সিগঞ্জ–১ আসনের বিএনপি প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। ইছাপুরা ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদন লিপু হোসেন বলেছেন, বিএনপির এজেন্ট আসেননি।
একই আসনের কুসুমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল। এখানে দুই দলের এজেন্ট কেন্দ্রে আছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল মোমিন মিয়া বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হচ্ছে।
এ কেন্দ্রে কথা হয় ঢাকা থেকে ভোট দিতে আসা গৃহিণী ফাহিমা আকতারের সঙ্গে। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছেন।
একই আসনের আরেকটি কেন্দ্রে দেখা যায়, বিএনপির এজেন্ট নেই।