‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ প্রবর্তন করেছে সরকার। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও চেতনার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তি ও সংগঠন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এই পুরষ্কার পাবেন। এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১–এর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাতটি শাখায় মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রদান করা হবে। সেগুলো হলো- স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে ভূমিকা, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সংস্কৃতিক কর্মকান্ড, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ। এছাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষেত্রে এই পদক দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ পদক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেটের ২৫ গ্রাম সোনা দিয়ে বানানো একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা এবং নগদ ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মুক্তিযুদ্ধ পদকের মনোনয়ন আহবান করবে। মনোনয়ন আহ্বানের বিষয়টি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানানো হবে।
ব্যক্তি পর্যায়ে এই পদকের জন্য মনোনীতকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে চাইলে মহান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশী নাগরিককেও এই পদক প্রদান করা যাবে। পদক প্রদানের জন্য ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকারের স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠান অথবা মুক্তিযুদ্ধকালীন কিংবা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সর্বজনবিদিত সংগঠন হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অনন্য হতে হবে। সরকারি দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সরাসরি অবদান রাখা মন্ত্রণালয় কিংবা বিভাগ, মন্ত্রণালয় কিংবা বিভাগের অধীন দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হবে।
তবে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত, ফৌজদারি আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত বা ফৌজদারি অপরাধে দন্ডিত কিংবা দেউলিয়া কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না। একবার পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী ১০ বছরে একই বিষয়ে পুনরায় পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেওয়া হবে না।