সপ্তম পর্ব

মুক্তিযুদ্ধে নওগাঁ ও নাটোরের গণহত্যা, বধ্যভূমি

>
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর নামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হত্যাকাণ্ড চালায়। এটা বিশ্বের নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ড। এখন আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি মেলেনি। বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যায় ৩০ লাখ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসর শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সহযোগিতায় এ হত্যাকাণ্ড চলে। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যায়। চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে এক হাজারের ওপর। বধ্যভূমি থেকে অসংখ্য মাথার খুলি, শরীরের হাড়গোড় ও চুল পাওয়া গেছে। ৬৪ জেলার গণহত্যা, বধ্যভূমি ও গণকবরের সংক্ষিপ্তভাবে বিবরণের ধারাবাহিক থাকবে প্রথম আলো নাগরিক সংবাদে। আজ থাকছে নওগাঁ ও নাটোরের গণহত্যা, বধ্যভূমি ও গণকবরের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

নওগাঁ

তাজ সিনেমা হল বধ্যভূমি, তাজ সিনেমা হল এলাকাসংলগ্ন
নওগাঁ সদরের তাজ সিনেমা হলের নিকটবর্তী পুরোনো পশু হাসপাতালটি অতিক্রম করে উত্তর দিকে কিছুদূর গেলেই দেখা যাবে, ছোট একটি মসজিদ। তার পাশেই রয়েছে একটি দালান বাড়ি। বসবাস করত এক বিহারি ব্যবসায়ী, নাম ইদ্রিস। তার বাসার ভেতর যেতেই যে কেউ চমকে উঠবেন। দেখতে পাবেন দুই ঘরের ভেতরে নির্মম হত্যার প্রমাণচিহ্ন। একটি ঘরে অনেক দড়ি ঝুলে আছে। আর অপরটিতে রয়েছে অসংখ্য বাঙালির রক্তের ছাপ। বিহারি ব্যবসায়ীরা খানসেনাদের সহযোগিতায় যেসব বাঙালিকে ধরে এনে জবাই করত, তাঁদের রক্তে তার অপবিত্র হাত রঞ্জিত করে, তা দিয়ে ঘরের জানালা রাঙিয়ে নিত, যেন আলতা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এ নারকীয় দৃশ্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। ইদ্রিসের বাড়ির ভেতর কাঁচা কূপটি মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এখনো সে কূপের ভেতরে দড়ি দেখা যায়। কূপটিতে অচেনা বাঙালির লাশ চাপা রয়েছে। আর এর পাশেই দেখা যায় প্রচুর রক্তের দাগ।

পাঠশালা স্কুল বধ্যভূমি
ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ যে বধ্যভূমিটি নওগাঁবাসী আবিষ্কার করেছিল, সেখানে কোনো পুরুষের লাশ পাওয়া যায়নি। এখানে ১৪ থেকে ৩০-৩৫ বছরের অগণিত নারীর লাশ পাওয়া গেছে। নওগাঁ সদরের পাড় নওগাঁ পাঠশালা স্কুলে ছিল এই বধ্যভূমি। এখানে একটি বড়সড় পানির কুয়া ছিল। যুবতী নারীদের ধরে এনে এই কুয়াসংলগ্ন একটা ঘরে প্রথমে পর্যায়ক্রমে কয়েক দিন ধরে পাকিস্তানিরা ধর্ষণ করত। তারপর তাঁদের জবাই করে অথবা জীবন্ত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে কুয়ার ভেতর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হতো।

রউফ মিয়ার বাগান বধ্যভূমি
পাড় নওগাঁয় আবিষ্কার করা হয়েছে আরও কয়েকটি বধ্যভূমি। এর মধ্যে মরদুলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে রউফ মিয়ার বাগানেও বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যায়।

ডা. হাসানের বাড়ি বধ্যভূমি
নওগাঁয় আবিষ্কৃত বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে পাড় নওগাঁর ডাক্তার হাসান আলীর বাড়ির পূর্ব-দক্ষিণ কোণে অবস্থিত পরিত্যক্ত জমিতে স্বাধীনতাযুদ্ধের পর অজস্র লাশ পাওয়া গিয়েছিল। এখন অবশ্য ওই জায়গায় গড়ে উঠেছে জনবসতি।

দক্ষিণ পাড়া বধ্যভূমি, দোগাছি গ্রাম
নওগাঁর দোগাছি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় ছিল বধ্যভূমি। পিরোজপুর, খিদিরপুর, চণ্ডীপুর, রানীনগর থানার ত্রিমোহনী, নওগাঁ থানার বলিরঘাট, শিমুলিয়া, ইলিশবাড়ি ও সুলতানপুর থেকে পাকিস্তানিরা অসংখ্য বাঙালিকে ধরে এনে দোগাছি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় নৃশংসভাবে হত্যা করে।

বলিহার ইউনিয়ন বধ্যভূমি
নওগাঁর বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বধ্যভূমি। এর মধ্যে বলিহার ইউনিয়নের বধ্যভূমি উল্লেখযোগ্য।

আতাইকুলা গণকবর
নওগাঁ শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে ছোট যমুনা নদীর কিনার ঘেঁষে গড়ে উঠেছে আতাইকুলা গ্রাম। ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল রোববার পাকিস্তানি বাহিনী নওগাঁর রানীনগর উপজেলার আতাইকুলা গ্রামে প্রবেশ করে এবং গ্রামটি ঘিরে ফেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ভবেশ্বর পাল সেই বিভীষিকাময় দিনটির কথা বর্ণনা করে বলেন, সেদিন পাকিস্তানি সেনারা গ্রাম থেকে পুরুষদের একে একে ধরে এনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করায় যোগেন্দ্রনাথ পালের বাড়ির বিশাল আঙিনায়। এভাবে নিরীহ ৮০ জন গ্রামবাসীকে ধরে আনা হয়। দুপুরের দিকে পাকিস্তানি সেনারা দুই দফায় এই ৮০ ব্যক্তির ওপর ব্রাশফায়ার করে, এতে তাঁদের দেহের রক্তে ভেসে যায় যোগেন্দ্রনাথ পালের বাড়ির বিশাল প্রাঙ্গণ। এত কিছুর পরও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ৮০ জনের মধ্যে ২৮ জন। তাঁদের অনেকের শরীরে রয়েছে গুলির আঘাতের চিহ্ন। এ ঘটনায় যাঁরা জীবিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ভবেশ্বর পাল একজন। ওই ঘটনার পরে ২৬ এপ্রিল ভবেশ্বর পাল আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় যোগেন্দ্রপালের বাড়ির পশ্চিম দিকে একটি গর্ত খুঁড়ে ওই ৫২ জন শহীদকে গণকবর দেন।

পাকুরিয়া বধ্যভূমি : ১৯৭১ সালের ২৮ আগস্ট নওগাঁর মান্দায় পাকুড়িয়া বধ্যভূমিেত ১২৮জন মুক্তিগামী মানুষকে হত্যা করা হয়।

হালিমনগর বধ্যভূমি : নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার নিরমই হালিমনগর বধ্যভূমিতে ৩৬ জন আদিবাসী মানুষের গণকবর রয়েছে। 

নাটোর
ফলবাগান বধ্যভূমি
১৯৭১ সালে নাটোরকে উত্তরবঙ্গের বধ্যভূমি বলা হতো। নাটোর ছিল পাকিস্তানি সেনাদের ২ নম্বর সামরিক সেক্টরের সদর দপ্তর (হেড কোয়ার্টার)। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা নাটোরের ফলবাগানকে বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহার করেছিল। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে বাঙালিদের ধরে এনে এখানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

ভাগার বধ্যভূমি
নাটোরের ভাগার ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর একটি বধ্যভূমি। তারা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে বাঙালিদের ধরে এনে এখানে নির্মমভাবে হত্যা করে ।

নদীর পাড় কবরস্থান বধ্যভূমি
মুক্তিযুদ্ধের সময় নাটোরের নদীর পাড় কবরস্থানকে বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে বাঙালিদের ধরে এনে এখানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

ছাতনী গ্রাম বধ্যভূমি
ছাতনী গ্রাম নাটোর সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ছাতনী গ্রাম একটি বধ্যভূমির নাম। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় অবাঙালি হাফেজ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩ জুন (১৯ জ্যৈষ্ঠ) ছাতনী গ্রামে যে নির্যাতন, বর্বরতা, হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল তা ভাষায় বর্ণনাতীত। জানা যায়, ছাতনী গ্রামের হত্যাকা­ণ্ড ছিল সুপরিকল্পিত। এই গ্রামের ৮২ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ নলিনীকান্ত জানান, ‘ওরা রাতে এসে ছাতনী দীঘির পাড়ে জমা হয়। রাত তখন প্রায় দুইটা। তারা ভোর পাঁচটার দিকে গ্রাম ঘিরে ফেলে। ঘরে ঘরে ঢুকে সবাইকে বের করে হাত পেছনে বেঁধে ধরে নিয়ে যায়। ওরা যাকেই পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। নারীদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে।’ ভোর পাঁচটা থেকে নয়টা পর্যন্ত একটানা গুলির শব্দ শোনা যায়। চলে অত্যাচার, হত্যা ও পাশবিকতা। এই হত্যাকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৪২।

রামপুরা খাল বধ্যভূমি, বনপাড়া
নাটোরের অপর একটি বধ্যভূমির নাম রামপুরা খাল। এই খালের ধারে হত্যা করা হয় হাজারো নারী-পুরুষ-শিশুকে। নাটোর থেকে ১৩ মাইল দূরত্বে বনপাড়া রোমান ক্যাথলিক মিশন। ১৯৭১ সালের ২ মে অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত, নিরাশ্রয় একদল নারী-পুরুষ-শিশু এক রাত মিশনে থেকে পরের দিন ভারতে পাড়ি দেবেন এই আশা নিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তুÍতাঁদের সে আশা পূরণ হয়নি। পাঞ্জাব রেজিমেন্টের কুখ্যাত মেজর শেরওয়ানি তার দলবল নিয়ে ৩ মে এই মিশনে হাজির হয়। তার সঙ্গে ছিল এক জল্লাদ হাফেজ আবদুর রহমান। তারা একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই মিশনে আশ্রিত নারী-পুরুষ ও শিশুদের ওপর। বুলেট, লাথি, রাইফেলের বাঁট আর বেয়নেটের খোঁচায় আশ্রিতদের সবাইকে জখম করে বেঁধে ফেলে। এ সময় কয়েকজন পুরুষ পালানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা ধরা পড়েন। একসময় পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসররা মিশনে আটক সবাইকে নিয়ে আসে দোয়াতপাড়া গ্রামে। এই গ্রামটি ছিল নাটোর থেকে তিন মাইল পশ্চিমে। এই গ্রামের অর্ধমাইল দক্ষিণে অবস্থিত রামপুরা খালের পাশে বন্দীদের নিয়ে হত্যা করা হয়। একই রাতে ১৫৭ জন নর-নারীকে হত্যা করেছে খানসেনারা।

শহীদ সাগর বধ্যভূমি, গোপালপুর চিনিকল, লালপুর
নাটোরের লালপুর থানায় অবস্থিত গোপালপুর উত্তরবঙ্গ চিনিকল চত্বরে ‘শহীদ সাগর’ নামের যে পুকুরটি রয়েছে, স্বাধীনতার আগে সে পুকুরটির নাম ছিল ‘গোপাল সাগর’। ১৯৭১ সালের ৫ মে এই পুকুর পাড়ে সংঘটিত হয় এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড­। উত্তরবঙ্গ চিনিকলের ম্যানেজার আনোয়ারুল আজিমসহ চিনিকলের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি দলকে এই পুকুরের পাড়ে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এ ঘটনায় আনোয়ারুল আজিমসহ চিনিকলের ৪৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী শহীদ হন। পুকুর পাড়েই শহীদদের লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। পাকিস্তানি সেনারা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও বহু মানুষকে এই পুকুর পাড়ে গুলি করে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে পুকুরটি ছিল বধ্যভূমি। স্বাধীনতার পরে এই পুকুরের ভেতর এবং পুকুর পাড় থেকে অসংখ্য শহীদের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। পুকুরটির অর্থাৎ ‘গোপাল সাগর’-এর নামকরণ করা হয় ‘শহীদ সাগর’।

বাওড়া রেলওয়ে ব্রিজ বধ্যভূমি, বাওড়া রেলওয়ে ব্রিজ, লালপুর
নাটোরের লালপুরের আজিমনগর-আবদুলপুরের মাঝে ‘বাওড়া’ রেলওয়ে ব্রিজটি মহাশ্মশান নামে আজও খ্যাত। এটি ছিল আবদুলপুর, মালঞ্চি, আড়ানী, লোকমানপুর, ইয়াছিনপুর, গোপালপুর, ঈশ্বরদী ও নাটোরের গণবন্দীদের বধ্যভূমি। ওয়াগন করে নিয়ে আসা হতো তাদের রাতের আঁধারে। সপ্তাহে এক দিন চলত এই হত্যাকা­ণ্ড। গণহত্যার লাশগুলো স্রোতের প্রবল তোড়ে ভেসে গেলেও কিছু কিছু লাশ আটকে থাকত কিনারে এবং বিক্ষিপ্তভাবে ঝোপে-জঙ্গলে। এসব লাশ ছিল হাত বাঁধা, চোখ বাঁধা, বেয়নেট দিয়ে খোঁচানো, গুলি খাওয়া ও গলাকাটা। সেখানে কত প্রাণ যে গেছে, তা সঠিকভাবে বলা কঠিন। দুর্যোগের নয়টি মাস বড় দীর্ঘ সময়।

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ত্রৈমাসিক স্বপ্ন ‘৭১–এর গণহত্যা’ ৭১ সম্পাদিত আবু সাঈদ; একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর; সুকুমার বিশ্বাস, যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ ডা. এম এ হাসান, দৈনিক পূর্বদেশ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২, মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস, প্রথম খণ্ড–আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সম্পাদিত, দৈনিক পূর্বদেশ, ১০ মার্চ ১৯৭২,'গণহত্যা ১৯৭১ নওগাঁ সম্পাদিত মোস্তফা-আল-মেহমুদ রাসেল

*আগামীকাল ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ পড়ুন: সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় মুক্তিযুদ্ধে গণকবর ও বধ্যভূমি
*নওগাঁ ও নাটোরের আরও যদি গণহত্যা, গণকবর কিংবা বধ্যভূমিসংক্রান্ত খবর থাকে অনুগ্রহ করে মেইলে জানাবেন

আবু সাঈদ: কবি, সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক
abusayedone@gmail.com

আরও পড়ুন
প্রথম পর্ব : পঞ্চগড়–ঠাকুরগাঁওয়ে গণহত্যা, বধ্যভূমি ও গণকবর
দ্বিতীয় পর্ব: দিনাজপুর ও নীলফামারীর গণহত্যা, বধ্যভূমি ও গণকবর
তৃতীয় পর্ব : রংপুর ও কুড়িগ্রামে ১৯৭১ সালে গণহত্যা, বধ্যভূমি ও গণকবর
তুর্থ : মুক্তিযুদ্ধে লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় গণহত্যা

পঞ্চম পর্ব : মুক্তিযুদ্ধে জয়পুরহাট ও বগুড়ার গণহত্যা ও গণকবর
ষষ্ঠ পর্ব :মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহীর গণহত্যা ও বধ্যভূমি