মিল্ক ভিটার দুধে আর্সেনিক ও ফরমালিন রয়েছে বলে যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেছেন, বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় মিল্ক ভিটার দুধে ফরমালিনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মিল্ক ভিটা দুধ হচ্ছে পরিপূর্ণ, উপযুক্ত এবং সুস্বাদু।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বপন ভট্টাচার্য্য এ দাবি করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ঢাকা ইউনিভার্সিটির একটি টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে বলছে, মিল্ক ভিটাতে আর্সেনিক আছে। মিল্ক ভিটা দুধের মধ্যে নাকি ফরমালিন আছে। এটি একটি সর্বৈব মিথ্যা কথা।’ তিনি বলেন, গত বুধবার তাঁরা বিএসটিআইয়ে পরীক্ষা করিয়ে দেখেছেন মিল্ক ভিটার দুধে ফরমালিনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে একটি পরীক্ষা করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, মিল্ক ভিটা দুধ হচ্ছে পরিপূর্ণ, উপযুক্ত এবং সুস্বাদু দুধ। এর বিপরীতে কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।
স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘এই সংসদের মাধ্যমে জনগণকে নিশ্চিত করতে চাই, এখন পর্যন্ত যে সমস্ত আমদানি করা দুধ বাজারজাত করা হচ্ছে, মিল্ক ভিটা অনেক ক্ষেত্রে ভালো। অনেক ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য এবং পুষ্টিকর।’
আমদানি করা গুঁড়া দুধ মানসম্মত নয়, দাবি করে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, দেশে যে গুঁড়া দুধ আমদানি করা হয়, তা পুষ্টিযুক্ত খাবার নয়। ডেনমার্ক ও ইউরোপের যেসব দুধ পরিত্যক্ত, দুধের ফ্যাট সংগ্রহের পর যা ব্যবহার হয় না, তা ‘বাল্ক মাল’ হিসেবে ৫ শতাংশ কর দিয়ে আমদানি করে বিক্রি করে। এ দেশের মানসম্মত মিল্ক ভিটার দুধ যাতে বিক্রি না হয়, তার একটি অপচেষ্টা চলেছিল। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী এটা বুঝতে পেরে ওই ৫ শতাংশ ট্যাক্সের পর আরও ৫ শতাংশ যোগ করেছেন। এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপের ফলে মিল্ক ভিটার দুধের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ হবে।