চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এ কে এম রেজাউল করিমের বদলি আদেশ বাতিল করা হয়েছে। তিনি শিশু, হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ জারি করে। তাঁকে গত ২৬ জুন রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়েছিল।
জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করার অভিযোগে এ কে এম রেজাউল করিমকে বদলি করা হয়। অবশ্য তিনি সেখানে যোগ দেননি। এর আগে গত ৬ জুন তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
গত ২৫ এপ্রিল মাশরাফি নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে চারজন চিকিৎসকের অনুপস্থিতি দেখতে পেয়েছিলেন। মাশরাফির হাসপাতাল পরিদর্শনের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ এপ্রিল ফেসবুকে সংসদ সদস্য মাশরাফি সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন রেজাউল করিম।
অধ্যাপক রেজাউল করিমকে রাঙামাটি কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হলেও সেখানে শিশু ক্যানসারের সেবা দেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তাঁকে বদলির পর ভোগান্তিতে পড়েছিলেন চমেক হাসপাতালের রোগীরাও। এ বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে গত ৪ জুলাই চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন শতাধিক ক্যানসার রোগী ও তাঁদের অভিভাবকেরা।
যোগাযোগ করা হলে গতকাল শুক্রবার বিকেলে শিশু ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ কে এম রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, বদলি আদেশ জানার পর সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা তাঁকে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বদলির আদেশ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বদলির আদেশ বাতিল করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মাশরাফি। শেষ পর্যন্ত আদেশ বাতিল হয়েছে। এ জন্য মাশরাফি, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রেজাউল করিম।
বদলির আদেশ বাতিল হওয়ায় রোগীর স্বজনদের উদ্বেগ দূর হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, রাঙামাটিতে অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ তেমন ছিল না। এখন চমেক হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে পারবেন।