দেশের বাণিজ্যিক প্রতিটি যানবাহন থেকে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নামে ঘোষণা দিনে ৭০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। দেশে সব মিলিয়ে বাণিজ্যিক যানবাহন আছে ৮ লাখের বেশি। সে হিসাবে বছরে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় হয়। এর বাইরে অঘোষিত চাঁদার তো কোনো হিসাবই নেই। মালিক-শ্রমিকদের কল্যাণের কথা বলে এসব চাঁদা আদায় হলেও এখন করোনাভাইরাসের দুর্দিনে তাঁদের পাশে নেই কেউ।
শুধু শ্রমিক নন, সাধারণ পরিবহনমালিকেরাও আয়বঞ্চিত হয়ে কঠিন সময় পার করছেন। কারণ, তাঁদের ব্যাংকের বা গাড়ি সরবরাহকারী ডিলার কোম্পানিকে মাস শেষে কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। সরকার বিভিন্ন খাতের জন্য প্রণোদনার কথা ঘোষণা করলেও পরিবহন খাতের জন্য আলাদা কিছু উল্লেখ করেনি। ফলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বেকার হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের এখন ত্রাহি অবস্থা। সাধারণ মালিকেরাও আছেন বেকায়দায়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, দেশে নিবন্ধিত যানবাহন আছে প্রায় ৪৪ লাখ। পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব যান চালনার সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় ৭০ লাখ শ্রমিক। ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে পরিবহন চলাচল বন্ধ। পরিবহন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মোট পরিবহন ব্যবস্থার ২-৩ শতাংশ হয়তো চলাচল করছে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু পণ্যবাহী যান, অল্প কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ও কিছু মোটরসাইকেল। পরিবহন মালিক সমিতিগুলো বলছে, নজিরবিহীন এই পরিবহন সংকটে দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে, পরিবহনশ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক। আর তাঁদের বেতনও হওয়ার কথা মাসিক। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বাস-ট্রাকের চালকদের প্রায় সবাই দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে চলেন। অল্প কিছু বড় কোম্পানি বাসচালকদের মাসিক বেতন দিয়ে থাকে। তবে তাদের মূল আয় হয় ‘ট্রিপের’ (যাত্রা) ওপর। অন্য বাণিজ্যিক যানের শ্রমিকদেরও একই অবস্থা। অর্থাৎ কাজ থাকলে আয়, না থাকলে নেই—অবস্থা।
ঢাকার আজিমপুর থেকে নর্দা পর্যন্ত একটি কোম্পানির বাস চালান মামুনুর রশীদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বেশির ভাগ চালক-শ্রমিক গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। তাঁর মতো যারা শেষ মুহূর্তে যেতে পারেননি তাদের কষ্টের শেষ নেই। দুই কক্ষের একটি বাসা। ভাড়া ১২ হাজার টাকা। এক কক্ষে ছোট দুই ভাই থাকেন। তাঁরাও পরিবহন খাতে কাজ করতেন। সবারই আয় বন্ধ। আরেক কক্ষে তিনি, স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, দুই মেয়ে ছলমাইদে একটা স্কুলে পড়ে। খুব একটা খারাপ ছিল না সংসার। কিন্তু গত কদিনে ঘরে বাজারসদাই নেই। কয়েক দিন ধরে পূর্বাচলের কাছে রাখা কতগুলো বাস-মিনিবাস রাতে পাহারা দেওয়ার কাজ নিয়েছেন। দিনে ৪০০ টাকা পান, তাও নিয়মিত না।
সারা দেশে বাণিজ্যিক যানবাহনগুলো থেকে প্রতিদিন ৭০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। তা থেকে ৪০ টাকা পায় মালিক সমিতি। আর ৩০ টাকা শ্রমিক ইউনিয়নের ভাগে। মালিক সমিতিগুলো নানাভাবে বিভক্ত। তবে মূল সংগঠনটির নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান ওরফে রাঙা এবং আওয়ামী লীগ নেতা খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ। অন্যদিকে শ্রমিক সংগঠনগুলোর এক নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এসব চাঁদার বাইরে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে গেটপাস (জিপি) নামে বিপুল চাঁদা তোলা হয়। এ ছাড়া দূরপাল্লার পথে কেউ বাস নামাতে চাইলে জেলা মালিক-শ্রমিক সমিতিকে মোটা অঙ্কের অনুদান বা চাঁদা দিতে হয়।
শাজাহান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তাঁর সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী প্রথম আলোকে বলেন, পরিবহন শ্রমিকেরা বস্তিবাসীর চেয়েও খারাপ অবস্থায়। একটানা পাঁচ দিন কাজ না থাকলে তাদের পক্ষে খাবার জোগাড় করা সম্ভব নয়। সমিতি কি করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের কল্যাণ তহবিল থেকে সহায়তা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে শ্রমিকেরা যাতে ত্রাণ বা ১০ টাকা কেজি চাল ঠিকভাবে পান, সে জন্য সমিতির পক্ষ থেকে ইউএনওদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশানুরূপ না হলেও কিছু কিছু সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে সাধারণ পরিবহনমালিকদের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। প্রায় সবাই ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা বিদেশি কোম্পানির ডিলার বা এজেন্টদের কাছ থেকে কিস্তিতে সুদাসলে যানবাহন ক্রয় করেন। তাদের মাস শেষে মোটা অঙ্কের টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। আয় বন্ধ থাকায় চালক সংসার চালাতে পারছেন না। আর সাধারণ পরিবহন মালিকেরা কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না।
জানতে চাইলে খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কোম্পানি এনা পরিবহন থেকে শ্রমিকদের ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন। সামনেও এই সহায়তা অব্যাহত রাখবেন। তিনি বলেন, সমিতির চাঁদার টাকা যৎসামান্য। এটা দিয়ে এই দুর্যোগ কাটানো যাবে না। সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি প্রণোদনায় সেবা খাত বলা হয়েছে। তবে সেটা কবে, কীভাবে পাওয়া যাবে, সেটা একটা বিষয়। পোশাক খাত যেমন সবার আগে পেয়ে যাবে। তিনি জানান, অনেক পরিবহনমালিকের একটা বাস আছে। সেটা দিয়েই সংসার চালান। তাঁরা লজ্জায় চাইতেও পারছেন না। তাদের সহায়তার জন্য তারা তালিকা করছেন।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পর পরিবহন খাতে এমন অচলাবস্থার কথা মনে করতে পারছেন না পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা। ২০১৩ ও ২০১৫ সালে দেশে হরতাল-অবরোধে ব্যাপক জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও পরিবহনমালিকেদের করা তখনকার এক সমীক্ষায় দেখা যায়, সেই কঠিন পরিস্থিততেও দেশের ৬০ শতাংশ গণপরিবহন ও পণ্যবাহী যান চালু ছিল। বিশেষ করে সরকার ও সরকার সমর্থক পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় যান চালু রেখেছেন। আর এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সড়কে সড়কে যান বন্ধে পাহারা বসিয়ে কাজ করছে। এর বাইরে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ স্থানীয় যানবাহন আছে ১০ লাখের বেশি। গ্রামে-গঞ্জে লকডাউনের কারণে এসব যানের চলাচলও প্রায় বন্ধ।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় ৭০ লাখ পরিবহন শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। দেশের সড়ক খাতে সঠিক বেতন কাঠামো কার্যকর না থাকায় প্রায় ৯৮ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক দৈনিক মজুরি বা ট্রিপ ভিত্তিক চাকরি করে থাকেন। অর্থাৎ দিনে আনে দিনে খায় অবস্থা। এখন তাঁরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি বলেন, দেশে সড়ক ও নৌ যোগাযোগ খাতে দৈনিক গড়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি বৈধ-অবৈধ চাঁদা আদায় হয়। এই খাতের মালিক ও শ্রমিক নেতাদের অনেকে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার। এই ভয়াবহ দুর্দিনে কাউকে অসহায় পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না।
যাত্রী ও পণ্য পরিবহন
দেশে পণ্য পরিবহনের যানবাহন আছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। এর মধ্যে আছে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, ট্রেইলর, পিকআপ ভ্যান উল্লেখযোগ্য। এখন জ্বালানি তেল,সবজি ও কিছু খাদ্যপণ্য পরিবহনের ট্রাক ছাড়া অন্য যানের চলাচল একেবারেই বন্ধ। এই খাতের মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, পণ্য পরিবহন যানের মাত্র ১০ শতাংশ এখন চলমান।
এর মধ্যে কাভার্ড ভ্যান পুরোপুরি পোশাক কারখানার পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর এই খাত এখন বন্ধই আছে। ট্রেইলর পরিবহন করে বড় বড় নির্মাণসামগ্রী। এগুলোও বন্ধ। অল্প কিছু ট্রাক ও ট্যাংকার চালু আছে।
অন্যদিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে যাত্রী পরিবহনের বাস-মিনিবাস আছে ৮০ হাজারের কিছু বেশি। এসব বাস-মিনিবাসের একটা বড় অংশ দিনে একাধিকবার যাতায়াত করে। ফলে একেকটি যান তিন-চারটি যাত্রীবাহী যানে রূপ নেয়।
পণ্যবাহী পরিবহনগুলোতে চালকসহ কমপক্ষে দুজন করে কর্মী থাকেন। আর যাত্রীবাহী যানে চালক, সহকারী ও ভাড়া আদায়ের জন্য তিনজন করে কর্মী কাজ করেন। এর বাইরে টিকিট বিক্রির কাউন্টারগুলোর কর্মী তো আছেনই।
চালকেরা জানান, দূরপাল্লার পথের প্রতিটি ট্রিপের জন্য ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পান শ্রমিকেরা। দিনে খাবার খরচও পায় তারা। এখন সবই বন্ধ আছে।
এই বিষয়ে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর দুটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি বড় ট্রেইলর আছে। একটি ট্রাক দীর্ঘদিন কিস্তি দিয়ে ঋণের টাকা পরিশোধ হয়ে গেছে। এখন এটি তাঁর নিজ মালিকানায়। তবে অনেক পুরোনো বলে খুব বেশি আয় হয় না। বাকি দুটি যানের জন্য মাসে তাঁর কিস্তি দিতে হয় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। গত ১০ দিনে তাঁর কোনো আয় নেই। কারণ, কাভার্ড ভ্যান বা ট্রেইলারের কোনো মালামাল পাওয়া যাচ্ছে না। এখন কিস্তির টাকা কীভাবে দেবেন সেই চিন্তায় আছেন। পরিবহন খাতের জন্য প্রণোদনা দাবি করে লকডাউনের সময় কিস্তি পরিশোধ বন্ধ রাখার দাবি জানান তিনি।
ব্যক্তিগত গাড়ি ও রাইড শেয়ারিং
দেশে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস আছে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ। এর একটা অংশ সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ের। বাকিগুলো ব্যক্তিগত কাজের। কিছু কিছু আছে ভাড়ায় চালিত। ব্যক্তিগত গাড়ির চালকদের অনেকেই ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। তারা চলতি মাসের বেতন পাবেন কি না, সেটা অবশ্য বড় প্রশ্নের বিষয়। এর বাইরে যারা ভাড়ায় গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাতেন তাঁরা বড়ই বিপদে পড়েছেন।
সাভার ব্যাংক কলোনি এলাকার মীর আবু হানিফ একটা গাড়ি কিনেছেন বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে। নিজেই ভাড়ায় চালান। এটা দিয়েই চলে সংসার। মাসে কিস্তি ১০ হাজার টাকা। এরপর যা থাকে তা দিয়েই এক ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে ভালোই চলছিলেন। কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়ার পর বাসায় বসা। তিনি জানান, মাঝেমধ্যে ভাড়া আসে। কিন্তু বাসায় ছোট বাচ্চার নিরাপত্তার কথা ভেবে বের হন না। এখন বেশ কষ্টেই দিন পার করছেন।
আর একটা বড় অংশ চলে এখন রাইড শেয়ারিংয়ে। অন্যদিকে মোটরসাইকেল আছে ২৯ লাখের বেশি। এরও একটা অংশ রাইড শেয়ারিংয়ে চলে। লকডাউন হওয়ার পর এই খাতের শ্রমিকদের অবস্থা কঠিন হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে দুই লাখের বেশি গাড়ি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল রাইডশেয়ারিং সেবায় নিয়োজিত ছিল। এখন এর সবই বন্ধ হয়ে গেছে।
অফিসগামীদের বাস
রাজধানী ঢাকার সব সরকারি অফিসে কর্মীদের আনা-নেওয়ার জন্য নিজস্ব কোনো যানবাহন নেই। এ জন্যে তারা সরকারের সংস্থা বিআরটিসিসহ বেসরকারি মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিতে বাস-মিনিবাস নিয়ে কর্মীদের আনা-নেওয়ার কাজটি করেন। বেসরকারি সংস্থা, পোশাক কারখানা ও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও একই প্রথা চালু আছে। সব মিলিয়ে দুই হাজারের কাছাকাছি বাস-মিনিবাস অফিসগামী ও অফিস ফেরতদের আনা নেওয়া করে থাকে। গত ২৬ মার্চ থেকে এই বাস-মিনিবাসগুলোর চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বেকায়দায় পড়েছেন এর মালিক-শ্রমিকেরা।
এসব পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি সংস্থা বা করপোরেশনের কর্মীদের আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত যানগুলোর মালিকের সঙ্গে চুক্তি হয় এক বছরের। তবে টাকা দেওয়া হয় দৈনিকভিত্তিক। অর্থাৎ যে দিন চলবে শুধু সেদিনেরই টাকা পাবেন। এসব যানের দৈনিক ভাড়া তিন থেকে চার হাজার টাকা। তবে এই টাকা থেকে ট্যাক্স-ভ্যাট কেটে রাখা হয় ১৯ শতাংশ। বাকি টাকা থেকে মালিক তাঁর নিজের বিনিয়োগের লাভ করেন এবং ব্যাংক ঋণের কিস্তি ও শ্রমিকের বেতন দেন। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মীদের আনা-নেওয়ার কাজে নিয়োজিত এসব বাস-মিনিবাসও এখন অলস বসে আছে। সরকারি অফিসের কর্মী আনা-নেওয়ায় নিয়োজিত ছিল অন্তত ৬০০ বাস-মিনিবাস।
সরকারি সংস্থায় বাস ভাড়া দেওয়া মালিক খোন্দকার রফিকুল হোসেন কাজল প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি সরকারি অফিসে কর্মী পরিবহনের জন্য বাজেট আছে। বন্ধ থাকার সময়টাতে যদি সেখান থেকে প্রণোদনা দেওয়া হতো, তাহলে তাঁরা কিছুটা রক্ষা পেতেন।