তানভীর হত্যা

মামলা র্যাবের কাছে হস্তান্তর

নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর তানভীর মুহামঞ্চদ ত্বকী হত্যা মামলা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাবে) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের র‌্যাব-১১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রবিউল ইসলামের কাছে মামলার নথিপত্র তুলে দেন।

এই হত্যা মামলার বাদী ত্বকীর বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বির রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ মে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও এ বি এম আলতাফ হোসাইনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ মামলাটির তদন্তের অগ্রগতির তথ্য এবং তদন্তে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা ও মামলার তদন্তভার কেন র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হবে না, তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন। ওই রুলের জবাবে বিবাদীরা মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানানোর পর হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হলো। এখন থেকে মামলাটি র‌্যাব তদন্ত করবে।

জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, হাইকোর্টের রুল জারির পর ত্বকী হত্যা মামলার তদন্তভার ও মামলার সব নথিপত্র র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন থেকে মামলাটি র‌্যাবই তদন্ত করবে। এই মামলায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেছেন, কেবল বিচার বিভাগ আলাদা হলেই বিচারব্যবস্থা স্বাধীন হয় না। বিচারকদেরও মনের দিক থেকে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। স্বাধীনভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করতে হবে। তিনি দেওয়ানি মামলার দীর্ঘসূত্রতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘দ্রুত এসব মামলা নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। নইলে আমাদের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হবে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর বিচারব্যবস্থা নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়েছে। কিন্তু এক দিনই সবকিছু পাল্টে দেওয়া সম্ভব না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের দেশের গরিব মানুষ বাধ্য হয়ে আদালতে আসে। তারা আদালতে এসে যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’ বিচারালয়ের কর্মচারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, মামলার নকল নেওয়া, তারিখ নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে মানুষ হয়রানির শিকার হয়। এসব ব্যাপারে মানুষকে হয়রানি করা যাবে না।

জেলা ও দায়রা জজ আ ম মো. সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম, মুখ্য বিচারিক হাকিম শরিফ উদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি সিরাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম।