সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা

মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল শুনানি শেষ, রায় ৮ অক্টোবর

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে দেড় যুগ আগে হামলার ঘটনায় করা এক মামলা বাতিল প্রশ্নে রুলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে ৮ অক্টোবর রায়ের জন্য দিন রেখেছেন।

ওই ঘটনার সময় আসামি রকিবের বয়স দশ বছর ছিল উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলাটি বাতিল চেয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে আবেদন করে রকিব। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর থেকে আর মামলার কার্যক্রম এগোয়নি। বিষয়টি জানার পর সম্প্রতি রাষ্ট্রপক্ষ এ সংক্রান্ত রুল শুনানির উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রুল শুনানি শুরু হয়।

আদালতে রকিবের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল এস এম মুনীর, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।

পরে মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হত্যা চেষ্টা মামলাটি বাতিল প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৮ অক্টোবর রায়ের জন্য দিন ধার্য্য করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের ভাষ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরায় যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হন শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিক। ওই ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন কলারোয়া থানায় মামলা করতে যান, তবে তা গ্রহণ করা হয়নি।

রাষ্ট্রপক্ষের তথ্য, ঘটনার এক যুগ পর ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেন।

তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে বিএনপির তৎকালীন সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন হয়। এর বিরুদ্ধে আসামি রকিব হাইকোর্ট বাতিল আবেদন করে। এ ছাড়া আসামিপক্ষে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।