ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এক মনকাড়া উদ্যানের নাম ‘সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান’। ঢাকা থেকে যেতে যেতে দুই পাশে চোখজুড়ানো সবুজ চা–বাগান আর তার মাঝ দিয়ে চলা আঁকাবাঁকা সড়ক মুগ্ধ করবে যে–কাউকে। পথের শেষেই দেখা মিলবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই উদ্যানের।
সাতছড়ি উদ্যানে ভ্রমণের সবচেয়ে উপযোগী সময় জানুয়ারি থেকে মার্চ। কারণ, এ সময় গাঢ় কমলা রঙের মান্দার ফুলের দেখা মেলে। এখানকার প্রবেশমূল্য মাত্র ২০ টাকা। পুরো বনের সৌন্দর্য পাখির চোখে দেখার জন্য রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়ালেই মান্দার ফুলের পাশে চোখে পড়ে ফুলমাথা টিয়া, লালবুক টিয়া, বাসন্তী লটকন টিয়া, কাঠশালিক, সিপাহি বুলবুল, সুইচোরার মতো নয়নজুড়ানো সব পাখি।
মান্দার ফুলের পাশে বাসন্তী লটকন টিয়া। সব পাখি যেখানে মধু আহরণ করে ফুলের ওপর বসে, সেখানে বাসন্তী লটকন উল্টোভাবে ঝুলে থাকে ফুলের নিচে।ফুলের কাছে গিয়ে ভালোবাসাবাসি দুই ফুলমাথা টিয়ার।হালকা হলুদ আর শেওলা রঙের ছোট মাকরমা নামের পাখির মূল বৈশিষ্ট্য লম্বা বাঁকানো ঠোঁট। এই ঠোঁট দিয়েই মধু সংগ্রহ করে সে।সচরাচর ঘন জঙ্গলে এর দেখা মিললেও এ মৌসুমে সুইচোরা পাখির দেখা মেলে সাতছড়ি উদ্যানে।বিশেষ রকমের হাঁকডাক শুনলেই বুঝতে হবে ফুলের বাগানে হাজির হয়েছে লালবুক টিয়া।মান্দারবনের মাঝে সোনালি সবুজের রানি সোনাকপালী হরবোলা।মান্দারের বনে সবচেয়ে বখাটে পাখি কাঠশালিক। দিনজুড়ে তাদের হইচই আর কিচিরমিচির মাতিয়ে রাখে বন।খালি চোখে এই পাখি দেখা বেশ কষ্টকর। সুন্দর এই পাখির নাম বাবুনাই।বনে রাজা থাকবে। সোনালি রানি থাকবে। আর সিপাহি থাকবে না, তা তো হয় না! মান্দার বনের প্রহরী সিপাহি বুলবুলি।মান্দার বনের নিঃসঙ্গ পাখি কালো ঝুঁটি বুলবুলি।