মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা এক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর এপ্রিলে হাইকোর্টে শুনানি হতে যাচ্ছে।
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার শুনানির এই দিন নির্ধারণ করেন।
ওই মামলায় আদালত আজ খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দেন বলে প্রথমার্ধে জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী কায়সার কামাল। এই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত আছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া।
জানতে চাইলে বিকেলে সামিরা তারানুম রাবেয়া প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যাহ্ন বিরতির পর আদালত মৌখিক সিদ্ধান্ত রিকল করেন। কেননা রাষ্ট্রপক্ষের কাছে নথি ছিল না। খালেদা জিয়ার পক্ষে তখন আইনজীবী এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন উপস্থিত ছিলেন। অবকাশ শেষে আদালত খোলার (২৯ মার্চ) এক সপ্তাহ পর হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য রেখেছেন।
যোগাযোগ করা হলে আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত জামিনে আছেন। আজ রুল শুনানি জন্য ছিল। তবে নথি না থাকায় প্রথমার্ধে রাষ্ট্রপক্ষ সময় চায়। আদালত মৌখিকভাবে স্থায়ী জামিনের কথা জানান। পরে তিনটার দিকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে অবকাশ শেষে খোলার এক সপ্তাহ পর রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এ হিসেবে আগামী ২ এপ্রিল বিষয়টি তালিকায় আসবে।
এর আগে ওই মামলায় ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন ও রুল দেন। পরে জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় মানহানির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলাটি করেন জেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রায়হান ফারুকী ইমাম।