জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক বলেছেন, আর্থসামাজিক খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি যথেষ্ট। তবে সেই তুলনায় দেশের মানুষের নাগরিক অধিকারের উন্নতি হয়নি। মানবাধিকার পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রিয়াজুল হক। 'প্রোগ্রেস শেয়ারিং মিটিং উইথ মাল্টি স্টেকহোল্ডারস অন দ্য ইউপিআর মনিটরিং ফ্রেমওয়ার্ক' শীর্ষক এক মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করে বেসরকারি সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন।
আজকের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রিয়াজুল হক। তাঁর বক্তব্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টিও উঠে আসে। রিয়াজুল হক বলেন, ‘সরকারের বিরোধিতা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়। তাই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চার ক্ষেত্রে আইন ব্যবহার করে গ্রেপ্তার-হয়রানি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।'
আদালতে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি হেই কে অ্যালেফসন, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, তথ্য কমিশনের উপপরিচালক একেএম তারিকুল হক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসনীম জেবিন বিনতে শেখ, পেন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের মহাসচিব আইরিন জামান, দলিতদের সংগঠন 'অভিযানে'র নির্বাহী পরিচালক বনানী বিশ্বাস প্রমুখ।