মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ময়মনসিংহের ৯ আসামির মধ্যে ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাঁচ আসামিকে দেওয়া হয়েছে ২০ বছর করে কারাদণ্ড। একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। যাত্রা শুরুর পর আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে ৪২তম রায় এল।
গত বছরের ২৬ জানুয়ারি শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন। গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য আজকের দিন (বৃহস্পতিবার) ধার্য করেন। সে অনুসারে আজ রায় দেওয়া হলো।
রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া তিন আসামি হলেন মো. শামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, এ এফ এম ফয়জুল্লাহ ও আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল।
২০ বছর করে কারাদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন মো. খলিলুর রহমান, মো. আবদুল্লাহ, মো. রইস উদ্দিন আজাদী, আলিম উদ্দিন খান ও সিরাজুল ইসলাম তোতা।
খালাস পেয়েছেন আবদুল লতিফ।
৯ আসামির মধ্যে পাঁচজন কারাগারে আছেন। অপর চার আসামি পলাতক।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে কারাগারে থাকা আসামিদের আজ তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
মামলায় ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা। আসামিপক্ষে ছিলেন আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, দণ্ড পাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনে রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্যে ৪ জনকে হত্যা, ৯ জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার সাধুয়া ও রৌহা গ্রামে আসামিরা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়।