মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মাদক বিক্রেতারা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সংস্থা ইউএনবিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো মূল্যে মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা বিভাগওয়ারি এ তালিকা নিয়ে অভিযান চলছে।
মাদক নির্মূলের নামে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করতে যায়, তখন তারা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় দু-একটি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে।
মন্ত্রী বলেন, সোমবার পর্যন্ত যে হিসাব জমেছে, তাতে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত দুই হাজারের অধিক মাদক ব্যবসায়ীকে এক থেকে ছয় মাসের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেটাই গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে।
বাংলাদেশ মাদক নির্মূলে ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের পথ অনুসরণ করছে কি না, এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর করা তালিকা অনুযায়ী কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
মাদক আনা-নেওয়ার সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যও যুক্ত রয়েছে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ তালিকায় সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার পর্যন্ত ১০ দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৯ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।