একনজরে রাজশাহী
১৯৯০ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নামকরণ হয়।
সিটির আয়তন ৯৭.১৭ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।
জেলায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকার আম কেনাবেচা হয়।
দীর্ঘদিন জার্মানিতে ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক সদ্যপ্রয়াত ফরহাদ খান। জার্মানি থেকে ঢাকায় বিমানবন্দরে নেমেই অস্বস্তিতে পড়েছিলেন। গাড়ির হর্ন, মানুষের কোলাহলে দম আটকে আসে। তাঁর পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়ায়। তবু তিনি সিদ্ধান্ত নেন, অবসরজীবন কাটানোর জন্য রাজশাহীতে একটি বাড়ি করবেন। পরে সত্যিই তিনি রাজশাহী শহরের পদ্মা আবাসিক এলাকায় বাড়ি করেন। তাঁর মেয়ে তানিয়া নাসরিনের ভাষায়, রাজশাহী শান্তির শহর, বাস করার জন্য অপূর্ব জায়গা। এ জন্যই তাঁরা বাবা যত্ন করে বাড়িটি করেছিলেন।
শহর রাজশাহীর আদি নাম ছিল মহাকালগড়। তখন দেও রাজারা জায়গাটি শাসন করতেন। ১২৮৮-৮৯ সালের দিকে হজরত শাহ মখদুম রূপোশের সঙ্গে যুদ্ধে তাঁদের পতন ঘটে। তার পর থেকে বদলাতে থাকে মহাকালগড়। নাম বদলে হয় বোয়ালিয়া। ১৮২৫ সালে প্রশাসনিক কার্যালয় স্থাপনের পর হয় রামপুর-বোয়ালিয়া। ১৯২৯ সালে রেলপথ স্থাপনের সময় বর্তমান রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের নাম দেওয়া হয় রামপুর-বোয়ালিয়া স্টেশন। এর পরপরই আবার ‘রাজসাহী’ নামটি লেখা হয়। ১৯৪৭ সালের পর বর্তমান বানানে ‘রাজশাহী’ লেখা হয়। রামপুর-বোয়ালিয়ার বদলে শহরের নাম লেখা শুরু হয় রাজশাহী।
১৯৮৭ সালের ১৩ আগস্ট মো. আবদুল হাদী প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে রাজশাহী পৌরসভাটি রাজশাহী মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনে উন্নীত হয়। ১৯৯০ সালে মিউনিসিপ্যাল শব্দটির পরিবর্তে সিটি শব্দটি যুক্ত হয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নামকরণ হয়। শহরের দক্ষিণ পাশ দিয়েই পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে বয়ে গেছে একসময়ের প্রমত্তা পদ্মা নদী। বর্তমানে সিটি করপোরেশন এলাকার আয়তন প্রায় ৯৭ দশমিক ১৭ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে রাজধানী ঢাকা যেমন বড় হয়েছে, তেমনি সম্প্রসারিত হয়েছে দেশের পুরোনো শহরগুলোও। বড় শহরের পরিবর্তন ও বাসযোগ্যতা নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজনে এবার রাজশাহী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ১৯৯০ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় একটি গবেষণার জন্য জরিপ চালিয়ে ১ হাজার ১০০টি পুকুরের অস্তিত্ব খুঁজে বের করেছিলেন। ২০১৬ সালে বড় আয়তনের পুকুরের সংখ্যা দাঁড়ায় ২০০-এর নিচে। তাঁর ভাষায়, আয়তন অনুসারে ১৯৯০ সালে যে পরিমাণ পুকুর ছিল, সেটাই ছিল আদর্শ। তিনি বলেন, পুকুর ভরাট করে ফেলার কারণে বৃষ্টির পানি আর দাঁড়াতে পারছে না। তিনি বলেন, রাজশাহী অঞ্চল চরমভাবাপন্ন। আগুন লাগলে পানির জন্য ফায়ার সার্ভিসের নির্ধারিত কোনো জলাশয় নেই। যেভাবে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে, পরিবেশের জন্য তা হুমকিস্বরূপ।
অস্ট্রেলীয় একটি গবেষণা সংস্থার বরাত দিয়ে গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, গত ২০ বছরে রাজশাহী শহরের তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। স্থানীয়ভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে পুকুর ভরাটের প্রভাব রয়েছে।
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) হিসাব অনুযায়ী, তাদের সংরক্ষিত পুকুরের সংখ্যা ২১৫টি। কিন্তু সংরক্ষিত পুকুরও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী নগরের ভেতরে পুকুর ভরাট বন্ধে রাজশাহীর পরিবেশবাদী সংগঠন হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকীর দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১০ সালে তিন মাসের জন্য নগরের পুকুরগুলো ভরাটে স্থগিতাদেশ দেন। এই রিটের এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। এই অবস্থায় রাজশাহী নগরের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর ভরাট-দখল চলছেই।
আরডিএ সূত্র বলছে, একটি আদর্শ শহরের ২৫ শতাংশ খোলা জায়গা থাকা দরকার। পুরাতন সাহেব বাজারকেন্দ্রিক এলাকায় সেই জায়গা নেই। এখানে উন্মুক্ত জায়গা ৭ থেকে ৮ শতাংশের বেশি হবে না। ২০০৪ সালের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্মুক্ত জায়গা তৈরির জন্য খেলার মাঠ করার কথা থাকলেও এত বছরেও কোনো মাঠ বানানো হয়নি। তবে নতুন যে আবাসিক এলাকাগুলো হচ্ছে, সেখানে মাঠ থাকছে। নগরের পদ্মা আবাসিক এলাকা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা। এই এলাকায় অনেক প্লট এখনো ফাঁকাই পড়ে আছে। সেই হিসাবে এই এলাকায় ২৫ শতাংশের বেশি জায়গা ফাঁকা আছে। কিন্তু একসময় প্লটগুলোতে স্থাপনা তৈরি হয়ে যাবে। তখন এই এলাকায় ১৫ শতাংশ খালি জায়গা টিকবে।
আরডিএর অথরাইজড অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০০৪ সালের মহাপরিকল্পনার সময় রাজশাহী শহরের পদ্মা নদীর ধারের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতি একরে ৮৪ জন মানুষ বাস করত। ওই সময়ে নওদাপাড়া এলাকায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতি একরে মাত্র চারজন মানুষ বাস করত। শহরে মানুষের বসবাসের মধ্যে সমতা নিয়ে আসার জন্য উত্তর দিকে শহর সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সেটা অনেকটা হয়েছে। তার ফলেই এখন নওদাপাড়ায় প্রতি একরে বসতি ৪ জন থেকে বেড়ে ১০-১২ জনে দাঁড়িয়েছে।
রাজশাহী শহরে ১১০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও রোগনির্ণয় কেন্দ্র রয়েছে। একটি সরকারি ও দুটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। তবে চিকিৎসাসেবার মান নিয়েও প্রশ্নের মীমাংসা হয় না। অভিযোগ রয়েছে, একটি শহরে এত বেসরকারি ক্লিনিক ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রের আদৌ প্রয়োজন আছে কি না। এগুলো তদারকের কোনো ব্যবস্থা নেই। বরং অনেক প্রতিষ্ঠানে ভালো চিকিৎসা পাওয়ার পরিবর্তে রোগীরা প্রতারণার শিকার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
চিকিৎসার জন্য দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে মানুষের সবচেয়ে ভরসার জায়গা হয়ে এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ২০টি আইসিইউ শয্যাসহ এই হাসপাতালে এখন শয্যাসংখ্যা ১ হাজার ২০০। তবে সব সময় দেড় থেকে দুই হাজার রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকে।
রাজশাহীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। তবে চার বছর আগে যাত্রা শুরু করলেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয়টির ভৌত অবকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।
রাজশাহী শহরে চারটি সিনেমা হল ছিল, এখন একটিও নেই। রাজশাহী সিটি সেন্টারে একটি সিনেপ্লেক্স করার ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু ১০-১১ বছর ধরে এর নির্মাণকাজ ঝুলে আছে। আদৌ সেখানে সিনেপ্লেক্স করা হবে কি না, সেই নিশ্চয়তাও নেই। কাগজে-কলমে রাজশাহীতে সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে শতাধিক। কিন্তু ১০ থেকে ১২টির বেশি সংগঠনকে সক্রিয় দেখা যায় না। রাজশাহী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামার উল্লাহ সরকার বলেন, রাজশাহীর মতো বিভাগীয় শহরের সংস্কৃতির এই চর্চা একদমই যথেষ্ট নয়।
রাজশাহীতে বিনোদনকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ছে। দুটি পার্ক ছাড়াও রাজশাহী শহর ঘেঁষে চার-পাঁচ কিলোমিটার পদ্মার পাড় রয়েছে। আগে যা পরিত্যক্ত ছিল, সিটি করপোরেশনের মেয়র এগুলো বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছেন। প্রতিদিন বিকেলে এই বিনোদনকেন্দ্রে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়।
যানজট নিরসনে ও যাত্রীদের উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে নগরের নওদাপাড়া এলাকায় ৭ দশমিক ৪১ একর জায়গার ওপর সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৪ সালে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়। টার্মিনালটিতে একসঙ্গে প্রায় ৫০০টি বাস দাঁড়াতে পারে। ২০১১ সালের জুনে পরিবহনমালিকদের কাছে টার্মিনালটি হস্তান্তর করে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। উদ্দেশ্য ছিল, নগরের ভেতরে অবস্থিত শিরোইল বাস টার্মিনাল থেকে বাসগুলো নগরের বাইরে সরিয়ে দেওয়া। কিন্তু এখনো সেটি পুরোপুরি চালু হয়নি। টার্মিনালটি যেন শুধুই বাস রাখার জন্য গ্যারেজে পরিণত হয়েছে।
নওদাপাড়া থেকে বাস ছাড়লেও নগরের ভদ্রার স্মৃতি অম্লান মোড়ে এসে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী ওঠানো হয়। ঢাকাগামী বাসগুলো আগের জায়গাতেই রয়ে গেছে। নগরের রেলগেট এলাকায় রেল ভবনের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-নওগাঁ ও রাজশাহীর তানোর ও বাগমারা উপজেলায় চলাচলকারী বাসগুলো যাত্রী তুলতে দাঁড়িয়ে থাকে। তার পাশেই রাস্তার ওপরে রয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলারের স্টপেজ। এগুলোর কারণে সেখানে যানজট যেন লেগেই থাকছে। বিশেষ করে সকালে যানজট অসহনীয় হয়ে ওঠে।
রাজশাহী নগরে শিল্পায়ন না হলেও রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে দেশের মানুষের কাছে রাজশাহী শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিত। শহরের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এখন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অবদান রাখছে।
রাজশাহীর প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজশাহী কলেজ। ১৮৭৩ সালে ছয়জন ছাত্র নিয়ে এ কলেজের যাত্রা শুরু হয়। কলেজের বর্তমান সাফল্য যেমন আছে, তেমনি আছে অতীতের গৌরবময় ইতিহাস। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও উপমহাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিধন্য এই বিদ্যাপীঠের নামেই অবিভক্ত ভারতবর্ষে রাজশাহী পরিচিত ছিল।
দেশের তৃতীয় বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সুপরিচিত। ১৯৫৩ সালে এর যাত্রা শুরু হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭টি বিভাগে এখন প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।
‘রাজা নেই শাহী নেই রাজশাহী নাম, হাতিঘোড়া কিছু নেই আছে শুধু আম।’ সত্তরের দশকের গোড়ার দিকের পিতা-পুত্র সিনেমার এই গানই মনে করিয়ে দেয়, রাজশাহী মানেই আম। আমেই তার পরিচয়। তাই রাজশাহীর নাম শুনলেই দেশের মানুষের মনে একই সঙ্গে আমের ছবি ভেসে ওঠে। শুধু সিনেমায় নয়, বাস্তবেও রাজশাহীর প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে আম। রাজশাহীতে এবার ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। ফলনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৮৩ মেট্রিক টন। তার চেয়ে উৎপাদন ৩ হাজার মেট্রিক টন বেশি হয়েছে। রাজশাহীতে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার কেনাবেচা হয়।
একইভাবে সিল্কের সঙ্গেও রাজশাহীর নাম জড়িয়ে আছে। রাজশাহী সিল্কের নাম মানুষের মুখে মুখে। রাজশাহী জেলার ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে সিল্ক দিয়ে। যদিও রাজশাহীতে সিল্কের আগের সেই ঐতিহ্য আর নেই। আমদানি করা সুতা দিয়ে সিল্কের কাপড় তৈরি করা হয়। রাজশাহীর সরকারি রেশম কারখানাটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৮ সালে চালু করা হলেও এখন মাত্র ১০টি লুম চলছে।
রাজশাহীতে কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে বিসিক নগরের জন্য দেড় শ বিঘা জমি ঠিক করা হয়েছে। সামনের বছর প্লট বিতরণ করা হবে। যাঁরা প্রকৃত ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তা, তাঁদের সঙ্গে তিনি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করছেন। তাঁদের নিয়ে আসতে পারলে ২০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারবেন বলে জানান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান। এ ছাড়া চামড়াশিল্প কেন্দ্র করার জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। সেটার কাজ চলছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটা করতে পারবেন। এই দুটি হলেই কর্মসংস্থানের সমস্যা অনেকটা মিটবে।
মশক নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে মেয়র বলেন, মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। ফগার মেশিন দিয়ে যা করা হয়, তাতে কোনো কাজ হয় না। মানুষ শুধু শব্দ শুনল, এটুকুই। নালার লার্ভা মারার জন্য যে ওষুধ দেওয়া হয়, তা খুবই ব্যয়বহুল। সব ওয়ার্ডে খেলার মাঠ তৈরি আসলেও সম্ভব হবে না বলে স্বীকার করেন মেয়র। তবে তিনি বলেন, তাঁর চেষ্টা রয়েছে চার-পাঁচটি ওয়ার্ডে করতে পারলেও অনেকটা উপকার হবে।