আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের উপযোগী করে নতুন এ মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার আকার চাহিদা অনুযায়ী বর্ধিত করা হতে পারে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উপযোগী করে প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। মন্ত্রিসভার আকার চাহিদা অনুযায়ী বর্ধিত করা হতে পারে। এই মন্ত্রিসভা নিয়ে দলের মধ্যে কোনো অসন্তোষ নেই। এটি নিয়ে দলের ভেতর ফাটল ধরবে না।’
ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নতুন মন্ত্রিসভায় নবীন-প্রবীণ সবাই আছেন। তবে সিনিয়র মন্ত্রীদের বাদ দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানেন। আমি বলব তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, এটা বলা ঠিক হবে না। তাদের দায়িত্ব পরিবর্তন হয়েছে। তারা পার্টিতে মনোনিবেশ করবেন।’
বর্তমান সরকার দুর্নীতির ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল বলেন, সুশাসন কায়েমে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুর্নীতির কারণে মন্ত্রীরা বাদ পড়েছেন, এটা ঠিক না। নতুন সরকারের কিছু চ্যালেঞ্জতো থাকবেই। তবে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা। আর এ লক্ষ্যেই নতুন এ মন্ত্রিসভা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে শেখ হাসিনার যে দৃষ্টিভঙ্গিটা কাজ করেছে- সেটা হচ্ছে, তিনি এবার মন্ত্রিসভা গঠনে গুরুত্ব দিয়েছেন যেসব এলাকাগুলো দীর্ঘকাল ধরে মন্ত্রী হওয়া থেকে বঞ্চিত, যেসব জেলা থেকে মন্ত্রী হননি কেউ, সেসব জেলাগুলোতে তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তবে এই মন্ত্রিসভা ভবিষ্যতে সম্প্রসারিতও হতে পারে। এখানের কেউ পারফরমেন্স না করে মন্ত্রী থাকতে পারবেন না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো সময়ের থেকে বর্তমানে এখন যে আওয়ামী লীগ রয়েছে, তা অনেক বেশি শক্তিশালী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দল আগের যেকোনো সময়ের থেকে ভালো আছে। এটা নিয়ে সংশয়ের কিছু নেই। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র ভালো করছে।
নতুন মন্ত্রিসভায় জোটের শরিকদের না থাকার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শরিকেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। মন্ত্রী না হলে তারা থাকবেন না, এমন নয়। সময়ে সময়ে চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তনও হতে পারে মন্ত্রিসভা। শরিকেরা এখন নেই, ভবিষ্যতে আসবে না এমন নয়।
বিরোধী দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি যাবে বলে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা বিরোধী ভূমিকা রাখলে গণতন্ত্র ভালো থাকবে।
‘অভিজ্ঞ মন্ত্রীদের অনেককেই মন্ত্রী সভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এতে সমস্যা হবে কিনা’—এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘এবারের মন্ত্রিসভাতেও অভিজ্ঞ ব্যক্তি রয়েছেন। একেবারে নেই বা তাতে সমস্যা হবে এমন ধারণা ঠিক না। আগে দায়িত্ব পালন করা অনেকেই মন্ত্রিসভায় আছেন। কাজেই মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞ লোক আছে।’