প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার শেষ হবে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা। রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে সকাল থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে পূজার নানা আচার ও দুর্গাপূজায় চিরাচরিত উৎসব পালন করতে দেখা গেছে।
আজ সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে সনাতন সমাজকল্যাণ সংঘের (সসকস) পূজামণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, দেবী দুর্গার বিজয়া দশমী বিহিত পূজার মাধ্যমে দশমী পালিত হচ্ছে। ভক্তরা দলে দলে আসছেন। নির্ধারিত সময় পরপর চিরাচরিত ধর্মীয় আচারে ভক্তরা দেবীর কাছে অঞ্জলি দিচ্ছেন। দেবীর কাছে প্রার্থনা করছেন।
মণ্ডপে ভেতরে ও বাইরে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা অগ্নিনির্বাপক গাড়ি নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন। হাতে জীবাণুনাশক দিয়ে দর্শনার্থীদের প্যান্ডেলের ভেতর যেতে দেখা যায়।
এই মণ্ডপে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে এসেছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনা মহামারিতে সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত। মা দুর্গার কাছে যাচনা করেছি, এই পৃথিবী যেন আগের মতো সুন্দর ও নির্মল হয়। আমরা সবাই যেন ভালো থাকতে পারি।’
১১ অক্টোবর ষষ্ঠী বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার দেবীর আগমন ঘটেছিল ঘোটকে। ভক্তদের অঞ্জলি গ্রহণ করে আজ দোলায় বিদায় নিচ্ছেন দেবী।
এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে হয়েছে ২৩৮টি।
প্রিয়াঙ্কা রানি সরকার বলেন, দশমীর দিনে আবেগ ও মন খারাপমিশ্রিত একটি অনুভূতি হয়। এদিনে মা দুর্গা ফিরে যায়। তখন আরও একটি বছরের অপেক্ষা। মা দুর্গার কাছে তিনিও সবার সুস্থতার প্রার্থনা করেছেন বলে জানান।
ফার্মগেটে সনাতন সমাজকল্যাণ সংঘের (সসকস) সাংস্কৃতিক সম্পাদক দিলীপ কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভক্তরা দলে দলে এসে অঞ্জলি দিয়ে প্রার্থনা করছেন।
এরপর আমরা মা দুর্গার দর্পণ বিসর্জন দেব। দর্পণ বিসর্জনের পর সিঁদুর খেলা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ যেহেতু জুমাবার, তাই নামাজ আদায়ের পর আমরা দেবী বিসর্জনের জন্য বের হব।’