দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদের জমি ব্যবহারে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পে মোট ৫৬০টি মসজিদ স্থাপনের বিষয়ে বলা হলেও আজকে ১৬২টি মসজিদের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হবে। ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদের জমি ব্যবহারে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে চুক্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন জ্যেষ্ঠ সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে বাসসের খবরে বলা হয়েছে, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মসজিদ হচ্ছে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার অন্যতম স্থান। এ দেশের ৯০ শতাংশ মুসলমান ধর্মীয় প্রার্থনার জন্য মসজিদে একত্র হয়ে থাকেন। তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় মডেল মসজিদগুলো নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মসজিদ নির্মাণের স্থান এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যেখানে লোকসমাগম বেশি হয়। এতে করে মানুষ ধর্মীয় কাজে সহজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিজস্ব অর্থায়নে যেভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে, তেমনি নিজস্ব অর্থায়নে মডেল মসজিদও নির্মাণ করবে।