আইনজীবী মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে এই মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মামলার বাদী আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটি সদস্য সুমনা আক্তার। আইনজীবী মইনুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ২৯ ধারায় মামলা করেন তিনি।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে রংপুর আদালতে করা মানহানির মামলায় গ্রেপ্তার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে কারাগারে পাঠান ঢাকার আদালত। মইনুলকে গত সোমবার গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার বাদী সুমনা আক্তার মামলার আরজিতে বলেন, তিনি বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। নারী ও শিশুদের মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। গত ১৬ অক্টোবর নিজ বাসায় ৭১ টেলিভিশনের টকশো দেখছিলেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী মইনুল তাঁকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। মামলায় বলা হয়, মইনুল হোসেন এই বক্তব্য দিয়ে নারী জাতির সম্মানহানি ঘটিয়েছেন। অথচ তিনি ক্ষমা চাননি। বরং গত ২১ অক্টোবর বিকলে ৩টা থেকে ২২ অক্টোবর রাত ৯টার মধ্যে পুনরায় একটি টেলিফোন অডিও রেকর্ড ডিজিটাল ডিভাইসে প্রকাশ করেন। মইনুল হোসেন নিজে অডিও রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। মামলায় আরও বলা হয়, আসামি মইনুল হোসেন ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাসুদা ভাট্টি সম্পর্কিত বিতর্কিত ব্যাখ্যার আড়ালে পুনরায় ফেসবুকে মাসুদা ভাট্টির ব্যক্তিগত চরিত্র জঘন্য মন্তব্য করা হয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধ। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৩ এর খ ধারা অনুযায়ী মইনুল হোসেন ঘটনার সময়ের পর পর দুইবার একই রকমের অপরাধ করেছেন। তাঁর এই অপরাধ অজামিনযোগ্য।