ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সেই শিক্ষক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এক স্কুলছাত্রীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। একই থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে আরেকটি মামলা করেছেন র্যাব-১১–এর উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আবদুল আজিজ। র্যাবের মামলায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জুলফিকার ওরফে রফিকুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
ধর্ষণের মামলায় ঘটনার শিকার ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেছেন, তাঁর মেয়ে অক্সফোর্ড হাইস্কুলে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার সময় শিক্ষক আরিফুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। লোকলজ্জার ভয়ে তাঁরা বিষয়টি এত দিন গোপন রাখেন। শিক্ষক আরিফুল শুধু তাঁর মেয়েকেই নয়, আরও ২০ থেকে ২৫ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন।
>পাঁচ বছরে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছেন শিক্ষক
ফাঁদে ফেলে কোনো কোনো শিক্ষার্থীর মাকেও ধর্ষণ করেছেন
এ বিষয়ে র্যাব-১১–এর কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুলের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ছাত্রীদের কখনো পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া বা ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন তিনি। আবার কখনো কম্পিউটার গ্রাফিকসে আপত্তিকর ছবি তৈরি করে তা দেখিয়ে ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেল। এভাবে গত পাঁচ বছরে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছেন তিনি। ফাঁদে ফেলে কোনো কোনো শিক্ষার্থীর মাকেও ধর্ষণ করেছেন তিনি। সেগুলো আবার মুঠোফোনে ভিডিও করে রাখেন।