বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহে আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া
গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উজিরপুর মহিলা কলেজ মাঠে ‘মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার নামে নির্বাচনী আলোচনা করেন শাহ আলম। এতে ৩০ ডিসেম্বর প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পাওয়া উজিরপুরের শিক্ষকেরা অংশ নেন।
উজিরপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মো. শাহ আলম তালুকদার বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে আপনারাই দায়িত্ব পালন করবেন, আমি আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাই। নির্বাচিত হতে পারলে সুখ–দুঃখে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’
সভায় উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আ. মজিদ সিকদার, পৌর মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন ব্যাপারী প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভা শেষে তাঁদের খাবার বিতরণ করা হয়। সভায় নৌকা প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বিএনপির প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহম্মেদ (সান্টু) অভিযোগ করেন, সরকারদলীয় প্রার্থী ওই সভা করে আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বানরীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন, ‘অনুষ্ঠানটির আয়োজক আমরা নই। আমরা হাজির হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি।’
মো. শাহে আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনুষ্ঠানের আয়োজক শিক্ষকেরা। আমি শুধু হাজির হয়ে এলাকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছি এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতার আহ্বান জানিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি উজিরপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি কাউকে দাওয়াত দেইনি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল হক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম সবাইকে দাওয়াত দিয়ে জড়ো করেছেন।’
চেষ্টা করেও দুই শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মাসুমা আক্তার বলেন, ‘শিক্ষকদের একটি সভা হওয়ার কথা শুনেছি, তবে রাজনৈতিক নেতারা ওই সভায় উপস্থিত হয়েছেন, তা আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’