কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), তাঁর গাড়িচালক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং আক্রান্ত এক স্বেচ্ছাসেবী নারীর পরিবারের দুই সদস্য।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় করোনা প্রতিরোধ কমিটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে। আজ ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া যায়।
একই সূত্র জানায়, এর আগে ভৈরবে ১০ জন আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে পুলিশের পাঁচ উপপরিদর্শক, এক চিকিৎসক, এক নার্স, এক স্বেচ্ছাসেবী নারী, ফার্মেসির এক বিক্রয় প্রতিনিধি ও প্রাণ কোম্পানির এক শ্রমিক।
ধারণা করা হচ্ছে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), তাঁর গাড়িচালক ও প্রাণ কোম্পানির শ্রমিক ছাড়া অন্যরা কোনো না কোনোভাবে একে অপরের সংস্পর্শে এসেছেন। আগের আক্রান্তের ঘটনায় ভৈরব লকডাউন ঘোষণা করা হয়। থানার ৬৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। অবরুদ্ধ করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডকে। এরপর ভৈরবে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পুরো স্থবির হয়ে পড়ে। থানায় নতুন করে আরও ৪০ পুলিশ সদস্যকে যুক্ত করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশি কার্যক্রমও ঝিমিয়ে পড়ে।
প্রাণ কোম্পানির ভৈরব কারখানা লকডাউন ঘোষণা করা হয় এবং কর্মরত প্রায় ৩০০ শ্রমিক-কর্মকর্তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
আজকের আক্রান্তের ঘটনায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনওর বাসা অবরুদ্ধ হওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব বুলবুল আহমেদ বলেন, এখন যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের শরীরে করোনার উপসর্গ নেই। মূলত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কথা ভেবে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।