এখানে এবার ঈদ পড়েছে শুক্রবার। অনেকেই ছুটি পাবেন না। ঈদের নামাজ পড়েই ছুটতে হবে কাজে। এই মুহূর্তে লকডাউন না থাকলেও সামাজিক দূরত্ব রক্ষা আর মুখে মাস্ক পরে চলাফেরা করতে হয়। ঈদের জামাতেও সেটা মানতে হবে। শরীরের তাপ মেপে মসজিদে ঢুকতে হবে।
করোনার জন্য এবার কোরবানির ব্যবস্থা ভিন্ন। পশু জবাইয়ের স্থানে জনসমাগম নিয়ন্ত্রিত। সেখানেও তাপমাত্রা মাপতে হবে। আগে গরু কোরবানির ব্যবস্থা ছিল ৪০টি, এ বছর ১৫টি।
করোনার কারণে এবার কোরবানির অনুমতি পাওয়াই ছিল কঠিন। আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুরা মিলে একটা কসাইখানায় অনেক আগেই তাই চারটি গরু জবাইয়ের চুক্তি করে ফেলেছিলাম। তাতে বলা ছিল, করোনার পর অনুমতি পেলেই সেটি কার্যকর হবে। জবাই আর কাটাকাটির খরচও এবার অনেক বেশি।
আগে গরু কিনে তারপর জবাইয়ের জায়গার সঙ্গে চুক্তি করতাম। এবার হলো উল্টো। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর শুরু হলো গরু দেখা। কোরবানির জন্য গরুর বয়স হতে হয় অন্তত দুই বছর। ইতালিয়ানরা ১৮–১৯ মাস বয়সের নিচের গরুর মাংস পছন্দ করে বলে বেশি বয়সের গরু পাওয়া দুষ্কর। ১৫ থেকে ২০টি গরুর খামারে ধরনা দিতে হলো। তবে আনন্দও হলো বেশ।
এখানে পশু জবাই করার সময় একজন পশু চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন। জবাইয়ের পর চামড়া ছাড়িয়ে বর্জ্য পরিষ্কার করার পর তিনি পরীক্ষা করে অনুমতি দিলেই তবেই শুরু হয় মাংস কাটা। জবাই করার জায়গা তো সব সময়ই পরিষ্কার করে রাখতে হয়। একেকটা জবাই শেষ, আর সঙ্গে সঙ্গে বর্জ্য সরাও, জায়গা সাফসুতরো করো।
বন্ধুরা, আপনারাও অনেকে নিশ্চয়ই কোরবানি দেবেন? অনুরোধ করব, সবাই নিজ নিজ পশুর বর্জ্য অপসারণ করে পরিবেশ ভালো রাখবেন। আমার আনন্দ আর ত্যাগে যেন অন্যের বিড়ম্বনা না হয়। আর দূরত্ব বজায় রাখবেন, স্বাস্থ্যবিধিগুলোও মেনে চলবেন।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।