ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় নতুন করে আরও ১৯ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনই হবিরবাড়ি ইউনিয়নের পোশাককর্মী। গতকাল শুক্রবার রাতে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোহেলী শারমিন।
উপজেলায় এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৯। মৃত্যু হয়েছে একজনের।
গতকাল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এই ১৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পৌর সদরের সাতজন, উপজেলায় শিল্পাঞ্চলখ্যাত হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ১০ জন রয়েছেন। তাঁরা সবাই সেখানের কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। এ ছাড়া ভরাডোবা ও কাচিনা ইউনিয়নে একজন করে রয়েছেন।
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোহেলী শারমিন বলেন, উপজেলায় মোট ৬৯ জন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন সুস্থ হয়েছেন। একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স রয়েছেন। সবার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তাঁরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন।
স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে শিল্পাঞ্চলখ্যাত ভালুকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, সংক্রমণের শুরু থেকেই প্রশাসন ও পুলিশ উপজেলার গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের সচেতনতায় কাজ করছে। কিন্তু লকডাউনের পর উপজেলার শিল্পকারখানাগুলোতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রমিকদের আগমনের কারণে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হবিরবাড়ি ইউনিয়নে শিল্পকারখানা বেশি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি।
এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, হবিরবাড়ি ইউনিয়নকে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা যায় কি না, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।