ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে দেড় লাখের বেশি আসামির জামিন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে ৩ লাখ ২২৮টি মামলার বিপরীতে কয়েক দফায় ১ লাখ ৫১ হাজার ১৪৬ আসামি জামিন পেয়েছেন। এ হিসাব গত বছরের ১১ মে থেকে চলতি বছরের ২৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ের। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গতকাল শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল থেকে দেশের অধস্তন আদালতে আসামিদের কারাগারে রেখে ভার্চ্যুয়ালি জামিন শুনানি চলছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩ দফায় চলতি বছরের ৫২ কার্যদিবসে ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৮৯টি মামলায় জামিন আবেদনের বিপরীতে ৭৮ হাজার ৯১৭ আসামি জামিন পেয়েছেন।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এর মধ্যে গত ১২ এপ্রিল থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ৪৬ কার্যদিবসে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩০ মামলায় ভার্চ্যুয়ালি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি হয়, যেখানে ৬৯ হাজার ৬৫৫ জন জামিন পান। ১৫ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত ৩ কার্যদিবসে ১৪ হাজার ৬১টি মামলায় জামিন আবেদন ভার্চ্যুয়ালি শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়, যেখানে ৮ হাজার ৬৯৩ জন আসামি জামিন পান। সর্বশেষ ২৫ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত ৩ কার্যদিবসে ১ হাজার ৪৯৮টি মামলায় জামিনের দরখাস্ত ভার্চ্যুয়ালি নিষ্পত্তি হয়, যেখানে ৫৬৯ আসামি জামিন পান।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে গত বছরের ৯ মে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ফলে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়। ৯ জুলাই অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হয়। অধ্যাদেশের বিধান অনুসারে ওই বছরের ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন হতে এ বিষয়ে প্র্যাকটিস নির্দেশনা (ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা) প্রকাশ করা হয়। এরপর ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু হয়।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্রের তথ্যমতে, গত বছরের ১১ মে থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৫৮ কার্যদিবসে সারা দেশের অধস্তন আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৯টি মামলায় জামিন আবেদন নিষ্পত্তি হয়, যেখানে ৭২ হাজার ২২৯ আসামি জামিন পান।