ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গৌরাঙ্গলা গ্রামে আজ রোববার সকালে ভারত থেকে আসা একটি পাগলা মহিষ তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে সাফিয়া বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ছয়জন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত সাফিয়া বেগম গৌরাঙ্গলা গ্রামের মুকতুল হোসেনের স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী, উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আজ সকালে কসবা উপজেলার গৌরাঙ্গলা গ্রামে ঢোকে একটি পাগলা মহিষ। এ সময় গৌরাঙ্গলা, হরিপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে। মহিষটির হামলায় বাড়ির উঠানে থাকা সাফিয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধা গুরুতর আহত হন। তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ছাড়া হরিপুর গ্রামের সন্তোষ সাহাসহ (৪০) আহত ছয়জনকে কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পাগলা মহিষটিকে আজ দুপুরে এলাকার শত শত মানুষ জড়ো হয়ে গৌরাঙ্গলা সীমান্ত এলাকা আটক করে। এটিকে জবাই করা হয়। পরে বিএসএফ ও বিজিবি যৌথ বৈঠক করে জবাই করা মহিষটি ভারতে সেটির মালিকের পরিবারকে ফেরত দেয়।
নিহত সাফিয়া বেগমের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলমের উপস্থিতিতে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, মহিষটির তাণ্ডবে ফসলি জমি ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
কসবার ইউএনও মাসুদ উল আলম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত নারীর পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।