ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দর্শকেরা যাতে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) দেখতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ নিয়ে একটি সমঝোতাপত্র সই হতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর মন্ত্রী কলকাতা প্রেসক্লাবে যান। সেখানে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সব সময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। বাংলাদেশ সব সময় শান্তি চায়। শান্তির পক্ষে। তিনি কাশ্মীরে সিআরপিএফ’এর গাড়িবহরে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান। জওয়ানদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বরাবর এই জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ সম্পর্ক আমাদের চিরদিনের। এই সম্পর্ক চিরঅটুট থাকবে। এই সম্পর্ক নিয়ে আমাদের দুই দেশের এখনও পথচলা। একাত্তর সাল থেকে শুরু। এই পথচলার মধ্যেই আমাদের দ্বিপক্ষীয় সংস্কৃতির আদানপ্রদান হয়। সংস্কৃতি অঙ্গন উজ্জীবিত হয়।
কেন কলকাতার টিভিতে বাংলাদেশ চ্যানেল দেখা যায় না এবং এই চ্যানেল দেখানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা তো চাই এ দেশেও বাংলাদেশের চ্যানেল দেখানো হোক। কিন্তু এখানকার বেসরকারি চ্যানেলগুলো মাত্রাতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ দাবি করে। এ কারণে বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেলগুলো কলকাতায় দেখানো যাচ্ছে না।
সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যে তো সংবাদপত্র বিনিময়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। দুই দেশের মধ্যে কি সংবাদপত্র বিনিময়ের ব্যবস্থা করা যায়? জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মানুষতো ইন্টারনেটের সৌজন্যে প্রতিদিনই দুই দেশের সংবাদপত্র দেখছেন, পড়ছেন। তবে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে দেখব।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান, উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল, বাংলাদেশের চিত্রতারকা ফেরদৌস, অপু বিশ্বাস, তারিন, রিয়াজ প্রমুখেরা।