প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ‘বিল্ডিং কোড’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। অগ্নিকাণ্ডসহ ভবনের সার্বিক নিরাপত্তা ভবনমালিক ও ব্যবহারকারীকে নিশ্চিত করতে হবে। তা ছাড়া সরকারি সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারি বাড়ানোসহ জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সভার শুরুতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বনানীর অগ্নিকাণ্ডে নিহত লোকজনের স্মরণে শোক প্রকাশ করেন এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। এ ছাড়া সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে হতাহত লোকজনের প্রতি শোক প্রকাশ করে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের প্রতিও সহমর্মিতা জানান শেখ হাসিনা।
বনানী দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীদের সাহসী ও কার্যকর ভূমিকার জন্য সভার পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সারা দেশে দলীয়ভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বছরব্যাপী কর্মসূচি পালন ও গ্রন্থ প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে আটটি সাংগঠনিক বিভাগের জন্য আটটি টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে যেসব মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতা কাজ করবেন না, তাঁদের ওপর প্রতিবেদন তৈরি ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্যাহ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান প্রমুখ।