বড় সব ইস্যুই আলোচনায় তুলবে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হতে যাচ্ছে ১৭ ডিসেম্বর। দুই নেতার এ বৈঠকে পানি বণ্টন সমস্যা, সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ বড় সব বিষয় আলোচনায় তুলবে ঢাকা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন এ কথা।

ওই বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আজ রোববার তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা হবে। একাধিক প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে। আমাদের যতগুলো বড় বড় ইস্যু আছে, সেসব ইস্যু আমরা আগামী বৈঠকে তুলব। পানি সমস্যা, সীমান্তে অনিশ্চয়তাসহ সবগুলো ইস্যুই তুলে ধরব।’

দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে সংযোগের কোনো প্রকল্প চালু হবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘৫৫ বছর পর বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ির সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু হবে। আগে একসময় এটা চালু ছিল। মাঝে ৫৫ বছর বন্ধ আছে।’

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সাম্প্রতিককালে সোনালি অধ্যায়ে বিরাজ করছে উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় বড় যত সমস্যা যেমন স্থল সীমানা, সমুদ্রসীমা, পানি সমস্যা, এগুলো আমরা মোটামুটিভাবে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছি। আমরা পৃথিবীর মধ্যে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছি, যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র যুদ্ধ, ঝগড়াঝাঁটি না করে বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে। সে জন্য বাংলাদেশ ও ভারত অবশ্যই সবার প্রশংসা পাওয়া উচিত। আমাদের মধ্যে যদি আরও কিছু সমস্যা থাকে, তবে আমরা বিশ্বাস করি যে আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমাধান করতে পারব।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘স্বাধীনতা সড়ক’

একাত্তরের ১৭ এপ্রিল অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিয়েছিলেন মেহেরপুরের মুজিবনগরে। ওই শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃত্ব কলকাতা থেকে নদীয়া হয়ে মুজিবনগরে এসেছিলেন। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বিদেশি গণমাধ্যমের কর্মীরাও কলকাতা থেকে এসেছিলেন মুজিবনগরে। ঐতিহাসিক ওই সড়কের ভারতীয় অংশটি সচল থাকলেও বন্ধ বাংলাদেশ অংশটি। দুই দেশের জনগণের সুবিধার কথা ভেবে মুজিবনগর থেকে নদীয়া হয়ে কলকাতার পথটিকে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ নামে চালুর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে জনসাধারণের জন্য স্বাধীনতা সড়ক উন্মুক্ত করতে রাজি হয়েছে ভারত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঐতিহাসিক সড়কটি চলাচলের জন্য খুলে যাবে।

এ বিষয়ে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রাস্তাটি ঐতিহাসিক এবং এটি ভারতের দিকে খোলা আছে। কিন্তু আমাদের দিকে বন্ধ রয়েছে। এটি আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চালু করতে চাই এবং ভারত সরকার এতে রাজি হয়েছে।’