ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের নতুন একটি কূপে গ্যাস পেয়েছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাপেক্স। এ কূপ থেকে দিনে ১ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে পারে বলে বাপেক্স কর্মকর্তারা আশা করছেন।
মঙ্গলবার রাতে এই কূপ থেকে গ্যাসের সঙ্গে পানি ওঠা শুরু করে। তবে গতকাল বুধবার কূপ থেকে পানি ওঠা বন্ধ হলে গ্যাস পাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় বাপেক্স।
২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর নবীনগরের হাজীপুর গ্রামে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কূপ খননের কাজ শুরু করে। কূপ খননকাজ শেষ হয় গত ৩১ জানুয়ারি। এ কূপ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি টাকা। খনি থেকে গ্যাস উত্তোলনের পর প্রক্রিয়াজাত (প্রসেস প্ল্যান্ট) করে তা পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়। শ্রীকাইলে প্রসেস প্ল্যান্ট থাকায় নতুন কূপ থেকে উত্তোলন করা গ্যাসের জন্য নতুন করে আর প্ল্যান্ট নির্মাণের দরকার হবে না।
শ্রীকাইল পূর্ব-১ গ্যাসক্ষেত্রের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ কবির জানান, মাটির নিচে প্রায় ৩ হাজার ৮০ মিটার গভীরে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গ্যাসের মজুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এই কূপ থেকে দৈনিক ১ কোটি ২০ লাখ থেকে দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
নবীনগর উপজেলায় গ্যাস পাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা এই কূপ থেকে উত্তোলন করা গ্যাস নবীনগরবাসীকে সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এর আগে ২০০৪ সালে বাপেক্স কুমিল্লার মুরাদনগরের শ্রীকাইলে নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে। বর্তমানে সেখান থেকে সফলভাবে গ্যাস উত্তোলন করছে বাপেক্স। এখান থেকে নতুন কূপটি ছয় কিলোমিটার দূরে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। নতুন কূপটির নাম দেওয়া হয়েছে শ্রীকাইল পূর্ব-১।