দোতলায় ব্যাংকের দপ্তর। ওঠা-নামার জন্য বাইরের দিকে রয়েছে সিঁড়ি। বয়স্ক ভাতা আনতে যাওয়া কয়েকজন বৃদ্ধ সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় হঠাৎ রেলিং ভেঙে যায়। হাত ফসকে প্রায় সাত ফুট নিচে পড়েন চারজন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। বাড়ি গিয়ে মারা যান একজন।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখায় আজ রোববার বেলা দুইটায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া বৃদ্ধের নাম মো. শুক্কুর আলী (৭০)। তিনি উপজেলার বাঘারপাড় গ্রামের বাসিন্দা। আহত হয়ে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন রাজনগর গ্রামের আবদুল গফুর (৭৫), বাঘারপাড় গ্রামের ছমিরুন (৭০) ও টুকেরগাঁওয়ের পায়রা বেগম (৪৮)।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত শুক্কুর আলী রেলিং ভেঙে পড়ার স্থানে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দুপুর ১২টায় সোনালী ব্যাংকের কোম্পানীগঞ্জ শাখায় বয়স্ক ভাতা উত্তোলন করতে যান শুক্কুর আলী। এ সময় তাঁর সঙ্গে ভাতা তুলতে আরও ১০-১২ জন ছিলেন। তাঁরা ব্যাংকের দোতলায় ওঠার সিঁড়িতে লাইন ধরে অপেক্ষা করছিলেন। সবাই সিঁড়ির রেলিংয়ে হেলান দিয়ে ছিলেন। বেলা দুইটার দিকে রেলিংয়ের একটি অংশ ভেঙে পড়লে প্রায় পাঁচ থেকে সাত ফুট উঁচু থেকে নিচে পড়ে যান কয়েকজন। আশপাশের এলাকার লোকজন ছুটে গিয়ে তাঁদের মধ্য থেকে চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর মধ্যে শুক্কুর আলীও ছিলেন।
তবে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকের রেলিং ভেঙে পড়ে তিনজন আহত হন। সেখানে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়েছিলেন শুক্কুর আলী। তাঁর শরীরে কোনো জখম ছিল না। বাড়ি ফিরে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক কামরুজ্জামান বলেন, আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে সবাই বাড়ি চলে যান। পরে কেউ মারা গেছেন কি না, এ বিষয়ে জানা নেই।
সোনালী ব্যাংকের কোম্পানীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক দিলীপ দেবনাথ জানিয়েছেন, রেলিংয়ে বেশি ভর দেওয়ার কারণে ভেঙে পড়ার দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটল।