ব্যাংকের সব পর্যায়ের নারী কর্মীরা ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। চাকরিজীবনে একজন স্থায়ী বা অস্থায়ী কর্মী দুবার এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এই সময়ে তাঁদের স্বাভাবিক বেতন-ভাতা দিতে হবে। ছুটির কারণে কারও বার্ষিক কর্মমূল্যায়নে অবনমন করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২০১৩ সালেও বাংলাদেশ ব্যাংক এই নির্দেশনা দিয়েছিল। এরপরও ব্যাংকগুলো মাতৃত্বকালীন ছুটি নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করছে না। এ কারণেই গত বৃহস্পতিবার নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতে বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ, উন্নয়ন ও অগ্রগতি সামগ্রিকভাবে জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম নিয়ামক। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। ফলে ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন পেশায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও শিক্ষাসহ নারী উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এ জন্য সরকারের মাতৃত্বকালীন ছুটিসংক্রান্ত বিধিমালার আলোকে সব ব্যাংককে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নীতিমালা অনুসরণের পরামর্শ দেওয়া হলো।
এর মধ্য রয়েছে ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি, চাকরিজীবনে দুবার এ সুবিধার সুযোগ ও ছুটির সময়ে স্বাভাবিক বেতন-ভাতা। আর ছুটির কারণে কারও বার্ষিক কর্মমূল্যায়নে অবনমন করা যাবে না। আগের বছরের বার্ষিক মূল্যায়ন বা পূর্ববর্তী তিন বছরের মধ্যে যেটি অধিকতর উত্তম, তাই বিবেচনায় নিতে হবে। পাশাপাশি মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সরকারি বিধান মানতে হবে।